জয়পুরহাটে শিলা বৃষ্টিতে কৃষকের স্বপ্ন ভঙ্গ

এস এম শফিকুল ইসলাম:
জয়পুরহাটে গত চার দিনের ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কৃষকরা যখন পাকা ধান ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখছিলেন তখনই শিলা বৃষ্টিতে তাদের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়।

জেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জয়পুরহাটে আগাম জাতের বোরো ধান ইতোমধ্যে কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে। বৈরি আবহাওয়ার কারণে ৮০ শতাংশ ধান পাকার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকদের কাটা-মাড়াইয়ের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গত চারদিনের বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ছিল ঝড়ো হওয়া এবং শিলা বৃষ্টি। এতে জেলার ৫ টি উপজেলার ৬৫০ হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়াও বোরো ধান ও ভূট্রার ক্ষেতও আংশিক ক্ষতি হয়েছে।

ক্ষেতলাল উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের কৃষক গোলাম কিবরিয়া জানান, গত আমন মৌসূমে বন্যায় ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। ধার দেনা করে ও বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে এবার বোরো ধান লাগিয়ে ছিলাম কিন্তু ঝড়ো হাওয়া ও শিলা বৃষ্টিতে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আবার শিলা বৃষ্টিতে ধানসহ বিভিন্ন ফসলের যে ক্ষতি হল এতে আমরা কিভাবে ঋণ শোধ করবো এনিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।

আক্কেলপুর উপজেলার মাতাপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক জানান, আমি এবার ৮ বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়ে ছিলাম। প্রতি বিঘাতে ২০/২৫ মণ ধান পাওয়ার কথা থাকলেও শিলা বৃষ্টির কারনে সেখানে বিঘা প্রতি ৪/৫ মন ধান পাব কি না সন্দেহ আছে । এতে উৎপাদন খরচ উঠবে না বলে আগামী ফসল ফলানো কষ্টকর হবে।

জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সুধেন্দ্রনাথ রায় জানান, জেলার পাঁচ উপজেলায় এবার ৭২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দিন দিন উজ্জল হয়ে উঠলেও হঠাৎ করে আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বোরো চাষীরা। শিলা বৃষ্টির কারনে জেলায় ৬৫০ হেক্টর জমিতে ধানের আংশিক ক্ষতি হতে পারে বলে স্বীকার করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক।

আবহাওয়া ভাল হলেই মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে পরোদমে বোরো ধান কাটা মাড়াই শুরু হবে বলেও আশা করেন স্থানীয় এই কৃষি কর্মকর্তা ।

স/অ