জয়পুরহাটে বেড়েই চলেছে চালের দাম: বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

শফিকুল ইসলাম,জয়পুরহাট:
বেড়েই চলেছে জয়পুরহাটে চালের দাম। নতুন বোরো চাল বাজারে আসলেও প্রভাব পড়ছেনা দামে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ চালের সরবরাহ কম আর ধানের দাম বেশি হওয়ায় দাম বাড়ছে চালের। ধানের সরবরাহ স্বাভাবিক হলে চালের দাম কমবে অভিমত ব্যবসায়ী নেতাদের। দাম বৃদ্ধিতে হতাশ নিম্ন আয়ের মানুষ।

জয়পুরহাট জেলা শহরের বিভিন্ন চালের বাজার ঘুরে জানা যায়, প্রতি কেজি মোটা চাল বিআর-১৬ বিক্রি হচ্ছে ৪১ থেকে ৪২ টাকা, বিআর-২৮ ৪৩ থেকে ৪৫ টাকা, জিরাশাইল ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা, কাটারীভোগ ৪৮ থেকে ৫০ টাকা এবং মোটা হাইব্রিড চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৭ থেকে ৩৮ টাকা দরে।

ক্রেতারা জানান, রমজান মাস শুরু আগে এসব চাল কেজি প্রতি ৩ থেকে ৬ টাকা কম ছিল। এমনিতেই রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম চড়া। তার ওপর ভরা বোরো মৌসুমে চালের দাম বাড়তে থাকায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া দিনমজুর শ্রেণির চাল ক্রেতারা। পূর্ব বাজারে চাল কিনতে আসা দিন মজুর হারুন জানান, প্রতি বছর বোরো বা আমন মৌসুমের শুরুতে সাধারণত চালের দাম কম থাকে। এবার উল্টো বোরোর ভরা মৌসুমে চালের দাম বেড়েই চলেছে এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি।


আমতলী বাজারের মেসার্স রানা চাল ঘরের পাইকারী চাল বিক্রেতা রানা চৌধুরী জানান, মিল মালিকদের নিকট থেকে চাল কিনে বাজারে বিক্রি করেন। এতে বেশি দামে কিনে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। আগে অল্প পুঁজি খাটিয়ে যে পরিমাণ লাভ হতো, এখন অতিরিক্ত পুঁজি খাটাতে হচ্ছে সেই পরিমাণ লাভ করতে। ভরা মৌসুমে চালের দাম এ ভাবে বেড়ে যাওয়া ৩০ বছরের চাল বিক্রির অভিজ্ঞতায় দেখেন নি বলেও জানান তিনি।

মাছুয়া বাজারের বিসমিল্লাহ চাল ঘরের মালিক মিন্টু মিয়া জানান, প্রতি বস্তা চাল মিল থেকে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

মিল মালিকরা জানান, বাজারে এবার ধানের দাম বেশি হওয়ার কারণে চালের দাম বেশি পড়ছে। দেড় মণ ধান থেকে একমণ চাল তৈরি হয়। অন্যান্য খরচসহ একমণ চাল তৈরিতে খরচ পড়ছে সাড়ে ১৬০০ থেকে সাড়ে ১৭০০ টাকা পর্যন্ত। এ কারণে বেশি দামে ধান কিনে বেশি দামে চাল বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের।

জয়পুরহাট কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক সুধেন্দ্রনাথ রায় সিল্কসিটি নিউজকে জানান, জেলায় এবার ৭২ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে এবং ফলনও হয়েছে ভালো।

স/অ