জয়পুরহাটে জরিমানার প্রতিবাদে ৫ শতাধিক ঔষধের দোকান বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক,জয়পুরহাট:
জয়পুরহাটে ২টি ঔষুধের দোকানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে মেয়াদোত্তীর্ন ঔষধ রাখার দায়ে জরিমানা হয়। এর প্রতিবাদে জেলার পাঁচটি উপজেলার প্রায় ৫ শতাধিক ঔষধের দোকান একযোগে বন্ধ রাখা হয়। প্রায় ১৬ ঘন্টা পর জেলা প্রশাককের সাথে ফলপ্রশু আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হওয়ায় সকল ঔষধের দোকান খুলে দিয়েছে জেলা ড্রাগিস্ট এন্ড কেমিষ্ট সমিতি।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জয়পুরহাট জেলা ড্রাগিস্ট এন্ড কেমিষ্ট সমিতির নেতাদের সঙ্গে সমস্যা নিরসনের লক্ষে বৈঠকে বসেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হোসেন। বৈঠকে উভয় পক্ষের মধ্যে ফলপশু আলোচনায় সমস্যা সমাধান হওয়ায় বেলা ১২টা থেকে সব ঔষুধের দোকান খুলে দেওয়ার ঘোষনা দেন জয়পুরহাট জেলা ড্রাগিস্ট এন্ড কেমিষ্ট সমিতি।

উল্লেখ্য, বুধবার বিকেলে জয়পুরহাটে ২টি ঔষুধের দোকানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে মেয়াদোত্তীর্ন ঔষধ রাখার দায়ে জরিমানা করার প্রতিবাদে চেলার জটি উপজেলার প্রায় ৫ শতাধিক ঔষধের দোকান একযোগে বন্ধ রাখেন জেলা ড্রাগিস্ট এন্ড কেমিষ্ট সমিতি ।

ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জামশেদ আলম রানা জানান, বুধবার বিকেলে পৌর শহরের বাটার মোড়ে সওদাগর ফার্মেসী ও নিউ সওদাগর ফার্মেসি নামের দু’টি ঔষধের দোকানে মেয়াদোত্তীর্ন ঔষধ পাওয়া গেলে দোকান দু’টিতে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

জয়পুরহাট জেলা ড্রাগিস্ট এন্ড কেমিষ্ট সমিতির সাধারন সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান, জয়পুরহাটসহ সারা দেশের ঔষধের দোকানগুলোতে বিভিন্ন কোম্পানীর ঔষধ মজুত রেখে ব্যবসা করতে হয়। এ সমস্থ ঔষধের মধ্যে মেয়াদোর্ত্তীন ঔষধ থাকা অস্বাভাবিক নয়। তবে মেয়াদোত্তীর্ন ঔষধগুলি সংশ্লিষ্ট প্রস্তুতকারক কোম্পানীকে ফেরত দেওয়ার জন্য প্রত্যেকটি দোকানের নিদির্ষ্ট বাক্সে জমা রাখা হয়। সেখান থেকে ওই সব অব্যবহৃত ঔষধ জব্দ করে প্রায়ই ভ্রাম্যমান আদালতে ঔষধ ব্যবসায়ীদের এ ধরনের শাস্তি পেতে হচ্ছে।
স/শ