জয়পুরহাটে এটিএম বুথের নিহত নিরাপত্তাকর্মীর পরিবারকে মিউচুয়াল ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতা

জয়পুরহাট প্রতিনিধি:

জয়পুরহাট মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী নিহত শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সাথী তমা’র হাতে দুই লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। একই সাথে শফিকুলের নার্সারি পড়–য়া একমাত্র শিশু কন্যা সুমাইয়া আখতারকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ালেখার জন্য মাসিক ৫ হাজার টাকা প্রদানের চুক্তিপত্রও হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার সকালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক জয়পুরহাট শাখা কার্যালয়ে ব্যাংকের পক্ষ থেকে সহযোগিতার কাগজপত্র হস্তান্তর করেন ব্যাংকের বগুড়া জোনের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ইফতেখার হাসান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারি পুলিশ সুপার একরামুল হক, জেষ্ঠ সহকারি সহ-সভাপতি রুহুল আমীন, জয়পুরহাট শাখা ব্যবস্থাপক শাহ জালাল সরকার এবং গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ শাখার ব্যাংক ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন।

গত ৯ আগষ্ট রাতে জয়পুরহাট শহরের প্রধান সড়কের হাবিব ম্যানশনে অবস্থিত মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এটিএম বুথে টাকা লুটের সময় ডাকাতদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন বুথের নিরাপত্তাকর্মী শফিকুল ইসলাম। পুলিশ বুথের ওপর তলায় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শৌচাগার থেকে শফিকুলের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই রাতেই অজ্ঞাত আসামী করে এলিট সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেড এর পরিদর্শক আফজাল হোসেন বাদি হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা করেন। পুলিশ এটিএম বুথ থেকে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজও জব্দ করেন। কিন্তু সেই থেকে প্রায় এক মাস অতিবাহিত হলেও শফিকুল হত্যার কোন কুল কিনারা করতে পারেনি পুলিশ।

শফিকুলের স্ত্রী সাথী তমা বলেন, ‘আমার স্বামী প্রায় দশ বছর ধরে এটিএম বুথের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু কী অপরাধে তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। ঘটনার প্রায় এক মাসেও আমরা জানতে পারিনি। তিনি বলেন, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিই ছিলেন আমার স্বামী। তাঁর মৃত্যুর কারণে আমরা এখন অত্যন্ত অসহায়। এ অবস্থায় ব্যাংকের পক্ষ থেকে দুই লাখ টাকা এবং আমার শিশু কন্যার উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ালেখার জন্য মাসিক ৫ হাজার টাকা প্রদান করায় আমি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে চির কৃতজ্ঞ।

ব্যাংকের বগুড়া জোনের জেষ্ঠ সহ-সভাপতি ইফতেখার হাসান বলেন, ‘এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী শফিকুল খুন হওয়ায় আমরা মর্মাহত। এ ধরণের নির্মম হত্যাকান্ড আমাদের কখনও কাম্য হতে পারে না। আমরা তাঁর পরিবারকে সহযোগিতা করার জন্য ২ লাখ টাকার মাসিক মুনাফা এবং তাঁর সন্তানের পড়ালিখার জন্য মাসিক ৫ হাজার টাকা প্রদানের ব্যবস্থা করেছি। আর আশা করছি খুব শিঘ্রই পুলিশ শফিকুল হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করবে।

সহকারি পুলিশ সুপার একরামুল হক বলেন, ‘এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী শফিকুল হত্যাকা- নিয়ে আমরা তৎপর আছি। এ ব্যাপারে তদন্ত টিম কাজ করছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, আমরা অনেক দুর এগিয়েছি। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি এ মামলায় জড়িতদের আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো।

স/শা