জয়পুরহাটে আ.লীগের নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগ, থানায় মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, জয়পুরহাট:

জয়পুরহাটের কালাইয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিসে ককটেল বিষ্ফোরণ, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় আওয়ামী লীগের ৪ জন কর্মী আহত হয়েছে। শুক্রবার ভোররাতে উপজেলার বিয়ালা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মীদের বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা করে মামলা হয়েছে।

আহত আওয়ামীলীগ কর্মীরা হলেন- বিয়ালা গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে গোলাম মোস্তফা (৫২), মৃত কেরামত আলীর ছেলে নাসির আলী (৪৮), আহম্মেদ আলীর ছেলে বেলাল হোসেন (৩৮) এবং জিয়াদুল ইসলামের ছেলে মাহমুদুল ইসলাম (১৮)। আহতদের জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য ও মাত্রাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ ন ম শওকত হাবিব তালুকদার লজিক বলেন, বিয়ালা গ্রামে বৃহষ্পতিবার রাত থেকে বিএনপির কর্মীরা ইচ্ছাকৃতভাবে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে উস্কানীমূলক কথা বলে আসছে। তাদের এসব কথার প্রতিবাদ করায় শুক্রবার ভোররাতে তারা আওয়ামীলীগের নির্বাচনী অফিসে হামলা চালান। তারা ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করেও ক্ষান্ত থাকেননি, তার উপর ৪ জন কর্মীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছেন।

কালাই উপজেলা বিএনপি সভাপতি ইব্রাহিম ফকির বলেন, যেখানে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের মাঠে থাকতেই দিচ্ছেন না, এমনকি তারা মারধর করা ছাড়াও বিএনপির পোষ্টার ব্যানার ছিড়ে ফেলছেন, সেখানে সাজানো নাটক করে তারা মামলাও করছেন। যাতে করে বিএনপির নেতাকর্মীরা নির্বাচনী মাঠে না থাকতে পারেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামলীগ কর্মীরা বিএনপির নির্বাচনী অফিসের চেয়ার-টেবিল তাদের অফিসে নিয়ে গিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। এছাড়া ওই বাজারের আওয়ামীলীগ কর্মীরা বিএনপি সমর্থকদের ২টি দোকান লুট-পাট চালিয়ে নগদ অর্থসহ প্রায় ১৫/২০ লাখ টাকার মালামাল লুট করেন।

কালাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল লতিফ খান জানান, বিএনপি ও আওয়ামীলীগ কর্মীদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে আওয়ামীলীগ অফিসে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও তাদের কর্মীদের পিটিয়ে আহত করেছেন এমন অভিযোগ আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে পাওয়া গেছে। জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মীদের বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা করে মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

স/শা