মঙ্গলবার , ৩০ এপ্রিল ২০১৯ | ১৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

জ্যেষ্ঠ নেতাদের পাশে না পাওয়ার বিষয়ে যা বললেন ফখরুল

Paris
এপ্রিল ৩০, ২০১৯ ৫:৩৭ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

৩০ ডিসেম্বরের ফল বর্জন করে সংসদে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও সেই সিদ্ধান্তে অনড় থাকতে পারেনি বিএনপি। একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ী দলটির ৬ জনপ্রতিনিধির ৫ জনই শপথ নিয়ে নিয়েছেন। সোমবার শপথ নেয়ার শেষ দিনে আচমকা চার জনপ্রতিনিধি স্পিকারের কাছে শপথ নেন।বাকি থাকেন একজন। তিনি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বগুড়া-৬ আসন থেকে জয়ী এই জনপ্রতিনিধি সোমবার শপথ নেননি।তবে দলীয় সংসদ সদস্যদের শপথ নেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন মির্জা ফখরুল।

সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে বক্তৃতা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু এ সময় ফখরুলের পাশে দলের জ্যেষ্ঠ কোনো নেতাকে দেখা যায়নি। শুধু জ্যেষ্ঠ নেতা কেন দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরেই দেখা মেলেনি। অথচ অন্যসময়ে মহাসচিবের পাশে বসার জন্য নেতাদের মধ্যে এক ধরণের প্রতিযোগিতা কাজ করে।এদিন মহাসচিবের নি:সঙ্গ সংবাদ সম্মেলন চোখ এড়ায়নি গণমাধ্যমের।

এ বিষয়ে গতকাল কোনো ব্যাখ্যা না দিলেও মঙ্গলবার মির্জা ফখরুল বিষয়টি খোলাসা করেন। সংসদে যোগদান সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে আপনাকে নিঃসঙ্গ দেখা গেছে। জ্যেষ্ঠ নেতারা কোথায় ছিলেন? এমন প্রশ্নে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সময় ও দূরত্বগত কারণে তারা (সিনিয়র নেতারা) উপস্থিত থাকতে পারেননি। অন্য কোনো কারণ নেই।ব্যথিত বা ক্ষোভ থেকে অনুপস্থিত থাকার প্রশ্নেই উঠে না।

এদিকে গতকালের সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আমরা সংসদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা দলের সবার সঙ্গে কথা বলে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নেতাকর্মীরা এতে সমর্থন দিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল।তিনি বলেন, আমরা আমাদের আন্দোলন যুগপৎভাবে চালিয়ে যাওয়াকে যুক্তিযুক্ত মনে করছি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জাতীয় রাজনীতি এ সংকটময় সময়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা, তার মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রামের অংশ হিসেবে আমরা সংসদে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

ফখরুল বলেন, আশা করি দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় অবিলম্বে একটি অবাধ জাতীয় সুষ্ঠু নির্বাচন আদায় করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশনেত্রীসহ সব রাজবন্দিকে মুক্ত করতে পারব।

এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, পলিটিক্সের কারণে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হতেই পারে। এটাই পলিটিক্স।

এর আগে বিকালে বিএনপি থেকে নির্বাচিত চার সংসদ সদস্যকে শপথবাক্য পাঠ করান জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

শপথ নেয়া চারজন হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. হারুনুর রশীদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া এবং বগুড়া-৪ আসনের মোশাররফ হোসেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নিয়েছিলেন বিএনপি থেকে নির্বাচিত ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ। এর জন্য তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

ফলে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া বিএনপির সব সংসদ সদস্যই শপথ নিলেন।

সর্বশেষ - রাজনীতি