জোড়া সেঞ্চুরির পর সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড

সিল্কসিটিনিউজ ক্রীড়া ডেস্ক:

ব্যর্থ ওয়ানডে এবং টি টোয়েন্টি সিরিজের পর যেন একের পর এক সাফল্য গাঁথা রচনা করে চলছে ওয়েলিংটন টেস্ট। বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে যে এভাবে ঘুরে দাঁড়াবে নিশ্চয়ই ভাবতে পারেনি কিউইরা।

বেসিন রিজার্ভের উইকেট প্রথম দিনে ব্যাটসম্যানদের প্রতিপক্ষ হয়ে যায়। কিন্তু তামিম-রিয়াদ-মমিনুলরা সেই চ্যালেঞ্জ ভালোভাবেই মোকাবেলা করেছিলেন। আজ দ্বিতীয় দিনে জোড়া সেঞ্চুরিতে কিউইদের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভাঙল টাইগাররা।এর আগে কিউইদের বিপক্ষে টাইগারদের সর্বোচ্চ রান ছিল ৪০৮। সেটা আবার দ্বিতীয় ইনিংসে। ২০১০ সালে হ্যামিল্টন টেস্টে এই রান করেছিল সফরকারী বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের জোড়া সেঞ্চুরিতে সেই রান টপকে গেছে সফরকারীরা। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই ব্যক্তিগত ৬৪ রানে আউট হন মমিনুল হক। ১১৬ বলে ১০ চার এবং ১ ছক্কায় সাজানো তার ইনিংসটি শেষ হয় টিম সাউদির বলে।

এরপরই দলের হাল ধরেন সাকিব ও মুশফিক। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের ভয়ঙ্কর পেস আক্রমণকে নিয়ে ছেলেখেলা শুরু করলেন দুজন। ফলে এলো জোড়া সেঞ্চুরি। প্রথমে সাকিব, তারপর মুশফিক। ১৫০ বলে ১৩ বাউন্ডারিতে ১০০ রানে পৌঁছান সাকিব। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ৪র্থ শতরান। পাঁচ দিনের ক্রিকেটে সাকিব সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০১৪ সালের  ১৯ নভেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খুলনা টেস্টে। সাকিবের প্রথম সেঞ্চুরিটি ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই। সেটা ২০১০ সালে হ্যামিল্টন টেস্টে।

এরপর নার্ভাস নাইন্টিতে একটু নার্ভাস মনে হয়েছিল মুশফিককে। কিন্তু সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে ১৭৯ বলে ১৭টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তিন অংকে পৌঁছান ‘মি. ডিপেন্ডেবল’। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। মুশি সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০১৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কিংসটাউন টেস্টে। তার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ভারতের বিপক্ষে ২০১০ সালে চিটাগং টেস্টে।

এই দুজনের জুটিতে এখন এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের জুটিতে ২৫৪ রান এসেছে। বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ৪১৪। দিনের আরও ৩৪ ওভার খেলা বাকী। কালের কণ্ঠ