রাজশাহীতে জোর পূর্বক জমি দখল ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীতে জোর পূর্বক জমি দখল ,প্রাণনাশের হুমকি এবং দখলকৃত জমি ফিরে পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছন জাকির হোসেন নামের এক ব্যাক্তি। রবিবার বেলা সাড়ে ১২ টায় রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জাকির হোসেন লিখিত বক্তব্যে জানান, পবা উপজেলার, এয়ারপোর্ট থানাধীন দৌলতপুর এলাকায় আনুমানিক সাড়ে ১৩ বিঘা জমি কয়েক জন শরিকের। এই জমির মধ্যে আমার মায়ের অংশের সম্পত্তি আমরা কয়েক ভাই-বোন মিলে দীর্ঘ দিন থেকে ভোগদখল করে আসছি। আমার মায়ের অংশের সম্পত্তি আমরা কয়েক ভাই-বোনই প্রকৃত মালিক। যাহার দাগ নং আরএস ৪৯৪, ৪৯৫, ৪৯৬, ৪৯৯, ৫০০ এবং ৫২৬ দৌলতপুর ও বারইপাড়া মৌজা।

সম্প্রতি রাজশাহী শহর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকার সালাউদ্দিন (রাজু), বিপ্লব, মোস্তাফিজুর রহমান ও সুজাউদ্দিন সুজা নামের কয়েক জন প্রভাবশালী ব্যাক্তি আমাদের অন্য অংশীদারের মধ্যেকার কিছু জমি ক্রয়ের উদ্দেশ্যে বায়নামা করে। কিন্তু এই বায়নানামার বলে ওই প্রভাবশালীরা আমাদের ভোগদখলিয় সম্পত্তি সহ সমস্ত জমি (আনুমানিক সাড়ে ১৩ বিঘা) জোর পূর্বক বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলেছে। জোর পূর্বক বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলাল পর তারা এই সম্পত্তির উপর বায়নামা সূত্রে জমির মালিক দাবি করে সালাউদ্দিন, বিপ্লব, মোস্তাফিজ ও সুজা তাদের নিজস্ব বাহিনীর লোকজন দিয়ে পাহারা দিচ্ছে।

বক্তব্যে জানান, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আমাদের জমির উপর বেড়া দিতে নিষেধ করলে এবং বাধা দিলে বায়নামা সূত্রে জমির মালিক দাবিদার ওই ব্যাক্তিরা আমাদের উপর চড়াও হয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেন । কিন্তু এই জমির উপর বাটোয়ারা মামলা চলমান আছে। যাহার মামলা নং ০৮/২০২২ খ্রি.।

লিখিত বক্তব্যে আরো জানান, এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে এয়ারপোর্ট থানায় গেলে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেননি। বরং তারা এই ব্যাপারে কোন কিছু করতে পারবেনা বলে জানান। সেই সাথে থানা কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টি তাদের (বায়নামা সূত্রে জমির মালিক দাবিদার) মিমাংসা করিয়া নেয়ার জন্য পরামর্শ দেন।

এমতাবস্থায় আমারা পরিবার-পরিজন নিয়ে হুমকির মধ্যে আছি। প্রতিনিয়ত আমাদের প্রতিপক্ষের লোকজন প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতপূর্বক জমিটি উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য সংশ্লিষ্ঠদের প্রতি দাবী জানাচ্ছি।

এই বিষয়ে সুজাউদ্দিন সুজা বলেন, আমারা এই জমির মধ্যে কয়েকজন  শরিকের কাছ থেকে ৮ বিঘা জমি ক্রয় করেছি। আমরা শুধু আমাদের জমির উপরেই বাউন্ডারী ওয়াল দিয়েছি। আমারা কারো জমি দখলও করিনি বা কাউকেও প্রাণনাশের হুমকিও দিয়নি। বাউন্ডারী ওয়াল দেয়ার সময় জাকির হোসেনসহ অন্য শরিকরাও সেদিন উপস্থিত ছিল। আমাদের বাউন্ডারী দেওয়া জমির মধ্যে যদি জাকির সাহেবের জমি থাকে; তারা বৈধ কাগজ দেখালে তাদেরকে তা বুঝিয়ে দিব। তাছাড়া ওনাদের জমি এখনো ফাঁকা পড়ে আছে। এছাড়া মোট এই জমি অন্য শরিকের কাছ থেকে এর আগেই রকেট নামের এক ব্যাক্তি আড়াই বিঘা জমি ক্রয় করেছে। তারাও বাউন্ডারী দিয়েছে।

এয়ারপোর্ট থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা জানান, উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে আমরা জমি-জমা সংক্রান্ত কোন মামলা নিইনা। তবে জাকির হোসেন তাকে হুমকীর বিষয়ে একটি জিডি করেছেন। এই বিষয়ে তদন্তাধীন রয়েছে। আমি শুনেছি এই জমি নিয়ে আদালতে বাটোয়ারা মামলা চলমান রয়েছে। তাই বলেছি আপনারা এলাকায় বসে স্থানীয় ভাবে এটা সমাধান করে নেন; প্রয়োজনে আমারা নিরাপত্তা দিব। এছাড়া অপর পক্ষও একটি জিডি করেছেন।

এস/আই