বর্ষাকালে দীর্ঘদিন মাছ ধরতে পারেননি এই জেলে। বর্ষা শেষে এক মাস পর সমুদ্রে মাছ ধরতে যান তিনি। ভেবেছিলেন অন্যদিনের মতো মাছ বিক্রি করে হয়তো পরিবারের সবার খাবার জোটানোই কঠিন হবে। কিন্তু সেদিন বিধাতা তার ভাগ্যে অন্য কিছু লিখে রেখেছিলেন। তাই তার জালে ধরা পড়ল একসাথে ১৫৭টি ঘোল মাছ। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় দেড় কোটিরও বেশি টাকায় বিক্রি করেছেন তিনি।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের মহারাষ্ট্রের পালঘরের বাসিন্দা চন্দ্রকান্ত তারের জালে উঠছে এই বহুমূল্যের মাছগুলো। তীরে আনার পর নিলামে সঙ্গে সঙ্গেই তা বিক্রি হয়ে যায়।
প্রশ্ন উঠতে পারে কেন এতো দাম এই মাছের? সোনার মতো দামি এই মাছকে ‘সি গোল্ড’ বা ‘স্বর্ণ হৃদয়ের মাছ’ও বলা হয়। এই মাছের প্রতিটি অংশই ওষুধ ও প্রসাধন তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। এজন্যই এই মাছের এতো দাম বলে মনে করা হচ্ছে।
এই মাছের বৈজ্ঞানিক নাম ‘প্রোটোনিবিয়া ডায়াকানথুস’। হংকং, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া সিঙ্গাপুর, জাপানে এই মাছের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তবে দূষণের কারণে এই মাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
সূত্রঃ যুগান্তর