জেলা পরিষদ নির্বাচন: মোহনপুরে আকতারের সাত কর্মীর নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনের পোস্টার টানাতে গিয়ে দায়িত্বরত গ্রাম পুলিশের হামলার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রাম পুলিশ আসাদুল ইসলাম ও সোহাগ হোসেনকে মারধরের অভিযোগে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আখতারুজ্জামানের নির্বাচনী এজেন্ট আবু রায়হান মাসুদসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে মোহনপুর থানায় গ্রাম পুলিশ আব্দুল ওহাব বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন, হড়গ্রাম ইউনিয়নের অ্যাড. লতিফের ছেলে আবু রায়হান মাসুদসহ মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- বাগমারা উপজেলার বড়বিহানালী গ্রামের নাসির উদ্দীন প্রামাণিকের ছেলে আব্দুল মালেক নয়ন (৩৫), রাজশাহী নগরীর হড়গ্রাম এলাকার মৃত সাইফুদ্দিন মিয়ার ছেলে আবু সুফিয়ান সম্রাট (৩০), মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আশিকুল ইসলাম নিটু (৪৫), মৃত এ্যাড. মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে এ্যাড. গোলাম আযম ফারুক (৫৩), মনিমুল হকের ছেলে উজ্জ্বল হোসেন (৩০), নগরীর লক্ষীপুর এলাকার মৃত নকির উদ্দিন শেখের ছেলে মোহাম্মাদ আলী (৫৩)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বুধবার দিবাগত রাতে মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ইউনিয়নে তিনটি মাইক্রোবাস নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারুজ্জামান আকতারের মোটরসাইকেল প্রতীকের পোস্টার টানাতে যান আবু রায়হান ও তার কয়েকজন সহযোগী। এ সময় তারা দায়িত্বরত গ্রাম পুলিশদের ইউনিয়ন পরিষদের দরজা খুলতে বলেন। গ্রাম পুলিশরা গভীর রাতে ইউনিয়ন পরিষদের দরজা খুলতে অপারগতা প্রকাশ করলে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।

বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে আসামিরা স্থান ত্যাগ করে পরবর্তীতে দলবদ্ধ হয়ে ইউনিয়ন পরিষদের দরজা ভেঙে দায়িত্বরত গ্রাম পুলিশদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। ঘটনা জানতে পেরে গ্রামবাসী তাদের ঘিরে রেখে গণধোলাই দেয়। গ্রামবাসীর রোশানলে পড়ে পালাতে গিয়ে এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে তাদের মাইক্রোস চাপা দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স/আর