জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস বন্ধ, ইসরাইলের সঙ্গে একীভূত

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের জন্য ব্যবহৃত মার্কিন কনস্যুলেট বন্ধ করে তা ইসরাইলি মিশনের সঙ্গে একীভূত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনে আনুষ্ঠানিকভাবে কনস্যুলেট সেবা বন্ধ করল দেশটি।

মার্কিন কনস্যুলেট সুবিধা পেতে এখন থেকে ফিলিস্তিনিরা ওই শহরেই অবস্থিত ইসরাইলি মিশনে যেতে হবে। কয়েক দশক ধরে চালু থাকা এই কনস্যুলেটটিই ফিলিস্তিনিদের জন্য মার্কিন দূতাবাস হিসেবে কাজ করতো। কিন্তু এখন থেকে ইসরাইলের মার্কিন দূতাবাসের অধীনে ফিলিস্তিনি ইউনিট কনস্যুলেটের ওই কাজগুলো করবে।

সোমবার থেকে একীভূতকরণের এ কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন এই পদক্ষেপে ফিলিস্তিনজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে।

তবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবার্ট পালাডিনো বলেছেন, এটি জেরুজালেম বা গাজা ভূখণ্ডে মার্কিন নীতির কোনো পরিবর্তনের ইঙ্গিতবাহী কিছু নয়। কূটনৈতিক দক্ষতা ও কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্যই এই সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়েছে।

২০১৭ সালের ৬ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে দখলদার ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণার পর ফিলিস্তিনের নেতারা জেরুজালেমের কনস্যুলেট জেনারেলসহ মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সমস্ত রাজনৈতিক যোগাযোগ স্থগিত করেছিল।

এর প্রেক্ষিতে গত বছরের অক্টোবরে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের জন্য একটি দূতাবাসের ঘোষণা দিয়েছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। ২০১৯ সালের মার্চ থেকে তা শুরু করার কথা জানিয়েছিল ওয়াশিংটন।

পম্পেওর ওই ঘোষণাই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে জেরুসালেমের অংশীদারিত্ব ও সমগ্র ফিলিস্তিনিদের অধিকারকে যুক্তরাষ্ট্র ক্ষুন্ন করছে বলেও মনে করেন তারা।

ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র সায়েব এরেকাত বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ এ পদক্ষেপটি শান্তি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে।

২০১৭ সালের ৬ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে দখলদার ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে দেশটির দূতাবাস তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তরের ঘোষণা দেন। এমন ঘোষণায় পুরো মুসলিম বিশ্বে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ শুরু হয়। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকমী সংগঠন ফাতাহ ও হামাস সর্বাত্মক প্রতিরোধ ও অসহযোগের আহ্বান জানায়।

অন্যদিকে ট্রাম্পের ঘোষণার পর ইসলামিক সাহায্য সংস্থা ওআইসির জরুরি সভায় মুসলিম দেশের নেতারা পূর্ব জেরুজালেমকে স্বাধীন ফিলিস্তিনের রাজধানী ঘোষণা করেন।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী তেলআবিবের পরিবর্তে ২০১৮ সালের মে মাসে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাসের কার্যক্রম শুরু করা হয়।

ওদিন নজিরবিহীন বিক্ষোভ করে ফিলিস্তিনিরা। বিক্ষোভ দমাতে ১৬ ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করে।

এর আগে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন। সেই সঙ্গে মার্কিন দূতাবাস তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তরের ঘোষণা দেন।

ট্রাম্পের ওই ঘোষণা অনুযায়ী তেলআবিবের পরিবর্তে ২০১৮ সালের মে মাসে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাসের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।