জেমস-মাইলসের দুই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছালো

অনুমতি ছাড়া গান ব্যবহারের অভিযোগে বেসরকারি মোবাইল ফোন কোম্পানি বাংলালিংকের বিরুদ্ধে কপিরাইট আইনে করা পৃথক দুই মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আসামি পক্ষের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে বুধবার (৫ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ দিন ধার্য করেন।

বুধবার এ দুই মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে এ মামলার আসামি বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অ্যাস দেশের বাইরে থাকায় তার আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।

এ দুই মামলার বিবাদীরা হলেন- বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অ্যাস, চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার এম নুরুল আলম, চিফ ডিজিটাল অফিসার সঞ্জয় ভাঘাসিয়া, চিফ করপোরেট রেগুলেটরি অফিসার তৈমুর রহমান এবং ভিএএসের প্রধান অনিক ধর। এর আগে গত ১০ নভেম্বর আদালতে হাজির হয়ে মাহফুজ আনাম ওরফে নগরবাউল খ্যাত জেমস এবং ব্যান্ড দল মাইলসের হামিন আহমেদ ও মানাম আহমেদ কপিরাইট আইনে বাংলালিংকের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা করেন।

আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ১০ নভেম্বর একই আদালতে পৃথক দুটি মামলা করেন দেশের জনপ্রিয় সংগীত তারকা জেমস ও মাইলস। আদালত অভিযোগ বিষয়ে জবাব দেওয়ার জন্য বাংলালিংকের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। ওইদিন জেমস সশরীরে আদালতে উপস্থিত হলেও মাইলসের পক্ষে দুজন উপস্থিত ছিলেন।

শুনানিতে জেমস ও মাইলসের আইনজীবী মিজানুর রহমান মামুন বলেন, ‘নীলা তুমি’ ও ‘ফিরিয়ে দাও’ মাইলস ব্যান্ডের এ দুটি গান কপিরাইট আইন লঙ্ঘন করে ১৪ বছর ধরে ব্যবহার করে টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক। গান দুটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য বাংলালিংককে মৌখিকভাবে বলা হয়। ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট গান দুটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। এছাড়া তিনটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গান সরিয়ে নেওয়ার জন্য তাদের বলা হয়। বারবার বলার পরও তারা গানগুলো সরায়নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ২১ অক্টোবর বাংলালিংকের বিরুদ্ধে মামলা করতে গুলশান থানায় যাই। থানায় মামলা না নিলে আমরা ন্যায়বিচারের জন্য আদালতে আসি।

এ আইনজীবী আরও বলেন, নগরবাউলের ছয়টি গান অনুমতি ছাড়া ১৪ বছর ধরে ওয়েলকাম টিউন হিসেবে ব্যবহার করছে বাংলালিংক। তাদের এ বিষয়ে বলার পরও গান সরানো হয়নি। আমরা গানগুলো সরাতে লিগ্যাল নোটিশও পাঠাই। তিন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেও গান সরানোর জন্য বলা হয়। তাতেও গানগুলো সরিয়ে নেয়নি বাংলালিংক।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ