জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় চলমান আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে (আইএলসি) অংশ নিয়েছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানান। সোমবার (২১ মার্চ) জেনেভা থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

এতে বলা হয়, জেনেভাতে শ্রম সমস্যা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সরকার থেকে বাস্তবায়িত ভালো অনুশীলনগুলো ভাগ করে নেওয়ার জন্য আইএলও মহাপরিচালক এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালকের সঙ্গে দেখা করবেন এম সারাভানান।

আইএলও ওয়েবসাইট অনুসারে, একবার অনুমোদন করা হলে জোরপূর্বক শ্রম প্রতিরোধ ও নির্মূল, ক্ষতিগ্রস্তদের সুরক্ষা, ক্ষতিপূরণের উপযুক্ত কার্যকর প্রতিকারের অনুমতি দেওয়া ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সারাভানান বলেন, কিছু ভালো অনুশীলনের মধ্যে রয়েছে জোরপূর্বক শ্রম সংক্রান্ত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা, ওয়ার্কিং ফর ওয়ার্কার্স মোবাইল অ্যাপ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যাক্ট ১৯৫৫ ও নিয়োগকারীদের ন্যূনতম স্ট্যান্ডার্ডস অব হাউজিং, অ্যাকোমোডেশন অ্যান্ড অ্যামেনিটিস অ্যাক্ট ১৯৯০ এর বাস্তবায়ন।

মন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, তিনি আধুনিক দাসত্ব আইন ২০১৫ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সুযোগগুলো অন্বেষণ করতে লন্ডনে একটি কার্যক্ষম সফর করবেন যা নিয়োগকারীদের অডিট পরিচালনার বাধ্যবাধকতা নির্ধারণ করে ও তাদের সরবরাহ শৃঙ্খলে জোরপূর্বক শ্রমের ঘটনাগুলো রিপোর্ট করে।

সরকারের পর্যালোচনার জন্য এটি কার্যকর হবে। কারণ মালয়েশিয়ার সরবরাহ শৃঙ্খলে সমস্যা সমাধানের জন্য একটি উপযুক্ত ব্যবস্থার অভাবে জোরপূর্বক শ্রমের ঘটনাও ঘটেছে বলে সারাভানান জানান।

মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, সম্মেলনে তারা আন্তর্জাতিক শ্রম মানদণ্ডে বিশেষকরে সুষ্ঠু কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া যে অগ্রগতি অর্জন করেছে তা তুলে ধরতে পারবেন।

বিদেশি শ্রমিক নির্ভর মালয়েশিয়ার উৎপাদন ব্যবস্থা ও উন্নত বিশ্বে পণ্যের বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে সুষম শ্রম ব্যবস্থাপনা ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য মাহাথিরের বর্তমান সরকার কাজ করছে। এ কর্মপরিবেশের সঙ্গে বেতন, থাকা, খাওয়া, চিকিৎসা ও বিমা সম্পৃক্ত রয়েছে।

সারাভানান যুক্তরাজ্যের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ (টিভিইটি) সংস্থাগুলোর সঙ্গেও দেখা করবেন ও পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন।

সারাভানান বলেছেন, এটি দেশের কর্মীবাহিনীর ৩৫ শতাংশ দক্ষ শ্রমিকের জন্য ভাগ করা সমৃদ্ধি ভিশন ২০৩০ এর সঙ্গেও সঙ্গতিপূর্ণ।

১৪ মার্চ শুরু হওয়া এ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার গভর্নিং বডির ৩৪৪তম সভা চলবে ২৬ মার্চ পর্যন্ত। শ্রমিকদের উন্নতি, তাদের সুযোগ-সুবিধা ও অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভার্সাই চুক্তি অনুযায়ী ১৯১৯ সালের ১১ এপ্রিল আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৬ সালে এ সংস্থা জাতিসংঘের সহায়ক সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। এটি জাতিসংঘের সবচেয়ে পুরোনো ও প্রথম বিশেষায়িত সংস্থা। এটি জাতিসংঘের একমাত্র ত্রিপক্ষীয় সংস্থা। যা সরকার, নিয়োগকর্তা বা মালিক ও শ্রমিকদের নিয়ে একসঙ্গে কাজ করে। ১৯৬৯ সালে সংস্থাটি উন্নয়নশীল দেশে শ্রমিক শ্রেণির মধ্যে শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কারণে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করে।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ