জুলহাজ-তনয় হত্যা: জিয়াসহ ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড চায় রাষ্ট্রপক্ষ

সমকামী অধিকারকর্মী জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয় হত্যা মামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়াসহ ৮ আসামির মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

নিহত জুলহাজ বাংলাদেশে নিযুক্ত প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনার প্রটোকল কর্মকর্তা ছিলেন। নিহত তনয় নাট্য সংগঠন লোক নাট্যদলের শিশু সংগঠন পিপলস থিয়েটারে জড়িত ছিলেন।

রোববার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এই দাবি জানান রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর গোলাম ছারোয়ার খান (জাকির)।

রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। তবে তা শেষ হয়নি।

সোমবার অবশিষ্ট যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান।

রাজধানীর কলাবাগানে পাঁচ বছর আগে খুন হওয়া ওই মামলায় গত বছরের ১৯ নভেম্বর আলোচিত এই হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়।

অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন- সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া (চাকরিচ্যুত মেজর), আকরাম হোসেন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী, জুনাইদ আহমদ ওরফে মওলানা জুনায়েদ আহম্মেদ ওরফে জুনায়েদ, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান, শেখ আব্দুল্লাহ ও আসাদুল্লাহ।

আসামিদের মধ্যে প্রথম চারজন পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। বাকি চারজন কারাগারে আছেন।

ওই ঘটনায় কলাবাগান থানায় জুলহাজের বড় ভাই মিনহাজ মান্নান ইমন হত্যা মামলা করেন। পরে সংশ্লিষ্ট থানার এসআই মোহাম্মদ শামীম অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের তিন বছর পর ২০১৯ সালের ১২ মে জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় দায়ের করা মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মুহম্মদ মনিরুল।

অভিযোগপত্র দেওয়ার পর  ২০১৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করার আদেশ দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগানের লেক সার্কাস রোডের বাড়িতে প্রবেশ করে সমকামী অধিকার কর্মী ইউএসএইড কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু থিয়েটারকর্মী মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।

 

সূত্রঃ যুগান্তর