জীবনে সাফল্য অপেক্ষা করে : ব্রিটনি স্পিয়ার্স

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বিশ্বের তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি ‘পপ আইকন’ হিসেবে সুপরিচিত। নব্বইয়ের দশকের শেষদিকে টিন পপ গানকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় আর সমাদৃত করতে ব্রিটনি অন্যতম গায়িকা হিসেবে ভূমিকা রাখেন।

শুধু ব্রিটনি নামেই বিখ্যাত। পুরো নাম ব্রিটনি জিন স্পিয়ার্স। জন্মগ্রহণ করেন ১৯৮১ সালের ২ ডিসেম্বর।

পেশায় একজন মার্কিন গায়িকা, নৃত্যশিল্পী এবং অভিনেত্রী। যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপির ম্যাককম্বে জন্ম নেয়া ব্রিটনি লুইজিয়ানার কেন্টউডে বেড়ে ওঠেন।

ব্রিটনির ক্যারিয়ারের সূচনা হয় প্রথমে মঞ্চ ও টেলিভিশনে অভিনয় করে। পরে ১৯৯৭ সালে তিনি জিভে রেকর্ডসের সঙ্গে গান গাওয়ার জন্য চুক্তি সই করেন। তার প্রথম দুটি অ্যালবাম বেবি ওয়ান মোর টাইম (১৯৯৯) ও ওপস! আই ডিড ইট অ্যাগেইন (২০০০) আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত হয়।

একজন টিনেজ গায়িকা হিসেবে সবচেয়ে বেশি অ্যালবাম বিক্রির রেকর্ড গড়েন। নিজের প্রথম গানের ২০ বছর পূর্তিতে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন বিশ্বজুড়ে।

বিশ্বের তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি ‘পপ আইকন’ হিসেবে সুপরিচিত। নব্বইয়ের দশকের শেষদিকে টিন পপ গানকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় আর সমাদৃত করতে ব্রিটনি অন্যতম গায়িকা হিসেবে ভূমিকা রাখেন। তিনি সর্বকালের সবচেয়ে বিক্রিত টিনেজ গায়িকা এবং ‘প্রিন্সেস অব পপ’ খেতাবে ভূষিত হন।

সুদক্ষ কাজের জন্য তিনি অল্প বয়সেই বহু পুরস্কার পেয়েছেন। যার মধ্যে গ্র্যামি পুরস্কার, আজীবন সম্মাননাসহ ছয়টি এমটিভি ভিডিও মিউজিক পুরস্কার, বিলবোর্ড মিলেনিয়াম পুরস্কারসহ দশটি বিলবোর্ড সঙ্গীত পুরস্কার এবং হলিউড ওয়াক অব ফেম তারকা অন্যতম।

মা লিন স্পিয়ার্স ও বাবা জেমস পার্নেল স্পিয়ার্সের দ্বিতীয় সন্তান তিনি। তার মাতামহী লিলিয়ান পর্টেল ছিলেন ইংরেজ। ভাই ব্রায়ান জেমস। বোন জেমি লিন ও অ্যালি সিমস।

মাত্র তিন বছর বয়স থেকে তিনি তার নিজ শহর লুইজিয়ানার কেন্টউডে নাচ শিখতেন। সে সুবাদে স্কুলের বার্ষিক আবৃত্তিতে একক শিল্পী হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়ে উপস্থিত সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন।

শৈশবে তিনি জিমন্যাস্টিক ও গানের পাঠ গ্রহণ করেন। এ ছাড়া অনেক রাজ্য প্রতিযোগিতা ও শিশুতোষ মেধা অনুষ্ঠানে বিজয়ী হন। ব্রিটনি পাঁচ বছর বয়সে প্রথম মঞ্চে গান করেন। কিন্ডারগার্টেনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে তিনি ‘হোয়াট চাইল্ড ইজ দিস’ গানটি গেয়ে সবার নজরে আসেন এবং নিজের প্রতিভার জানান দেন।

প্রসঙ্গত, ২৩ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ব্রিটনি সঙ্গীত জীবনের ২০ বছর পূর্ণ করেছেন। ১৯৯৮ সালের ব্রিটনির প্রথম একক গান ‘বেবি ওয়ান মোর টাইম’ মুক্তি পায়।

সঙ্গীত জীবনের ২০ বছর পূর্তিতে এ শিল্পী টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে ভক্তদের কাছে হয়ে ওঠেন স্মৃতিকাতর। নিজের অতীতের কথা করতে গিয়ে বারবার ভক্তদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি মনে করেন ভক্তদের জন্যই তিনি আজকের ব্রিটনি।

১৯৯৮ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে একক গান দিয়ে অভিষেক হয় ব্রিটনি স্পিয়ার্সে। ২০ বছরে এসে সেই দিনটিকে মনে করে ব্রিটনি জানালেন, আজকের দিনটা তার জন্য কী, তা ঠিক বলে বোঝাতে পারবেন না।

আজ থেকে ঠিক ২০ বছর আগের এই দিনে পুরো পৃথিবী প্রথমবার শুনেছিল তার গান। আর তখন থেকেই তিনি শ্রোতাদের কাছে ব্রিটনি হয়ে ওঠেন।

ব্রিটনি প্রথম একক গান ‘বেবি ওয়ান মোর টাইম’ মুক্তির পরই বিশ্বের ১৮টি দেশের টপচার্টের শীর্ষে জায়গা করে নেয়। ওই গানের পর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

একে একে ‘টক্সিক’, ‘ওম্যানাইজার’, ‘ওপস! আই ডিড ইট অ্যাগেইন’- গানগুলো দিয়ে তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় পপকন্যা শিল্পী হিসেবে ভক্তদের মনে জায়গা করে নেন।

সঙ্গীত বিশ্লেষকদের কাছে ব্রিটনি অনন্য প্রতিভা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। গানের উপস্থাপনায় নতুনত্ব আর ভিন্ন ধারার গায়কীর জন্য ব্রিটনি কোটি কোটি ভক্ত তৈরি হয়ে যায়।

ব্রিটনি মানেই যেন তারুণ্যের উদীপ্ত উন্মাদনা। সাফল্য আর জনপ্রিয়তায় কোনো অংশেই তিনি পিছিয়ে নেই । অসামান্য পরিশ্রম করে নিজেকে অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছেন।

কমবেশি মেধা সবার আছে। তবে তা প্রকাশের অপেক্ষায় থাকে। সুযোগ পাওয়াটাও একটা বড় বিষয়। সুযোগ না এলে তা তৈরি করে নিতে হবে। চেষ্টাকে অবিরত করতে হবে। জীবন বাধাময়।

কখনও কখনও বড় ঝড় এসে জীবনকে স্তব্ধও করে দিতে পারে। কিন্তু জীবন একটা গতিশীল অধ্যায়। তা থেমে থাকে না। নিজের গতিতেই সে তোমাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাই গতিহীন হয়ে পড় না।

নিজের প্রতিভাকে ওই গতির সঙ্গে মিলিয়ে চলতে পারলে একটা সাফল্য অপেক্ষা করে থাকে। আর তা ধরা দেবেই। তাই নিজেকে প্রাণবন্ত করে রাখ যতটা পারা যায়, যতটা সম্ভব। দেখবে তোমার একটা পৃথিবীতে তোমাকেই সেরা মনে হবে। নি

জের জীবনের সাফল্যের গল্প আর তরুণ প্রজন্মের জন্য এমন সব কথাই বলেন পপ আইকন ব্রিটনি।