জিয়া পরিবারকে ভয় পায় আওয়ামী লীগ: খন্দকার মোশাররফ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

জিয়া পরিবারকে আওয়ামী লীগ ভয় পায় বলেই নতুন প্রজন্মকে মিথ্যা ইতিহাস শেখাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বৃহস্পতিবার (২ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, জিয়াউর রহমানকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা সম্ভব নয়। দেশের সার্বিক উন্নয়নে তার অবদান রয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতারা যখন দেশ থেকে পালিয়েছিলেন তখন কারও নির্দেশ ছাড়াই তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান ‘উই রিভোল্ট‘ বলে বিদ্রোহ করেন। তিনি তার অধিনায়ক জেনারেল জানজুয়াকে গ্রেফতার ও হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা করে নিজে যুদ্ধ করেন। অথচ নতুন প্রজন্মকে মিথ্যা ইতিহাস শেখাচ্ছে আওয়ামী লীগ।

তিনি আরও বলেন, জিয়া তার শাসনামলে বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধন করে ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ সংযোজন করেন। ইনশাআল্লাহ এটা কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। তিনি সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বিষয়টির পরিবর্তন করেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সংবিধানে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি বাতিল করে মুক্তবাজার তথা অংশগ্রহণমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা চালু করেছেন।

বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থার কথা তুলে ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আজকে কৃষি, রেমিট্যান্স ও পোশাক শিল্পের ওপর বাংলাদেশের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে । এগুলো প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিজে প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে।

জিয়াউর রহমান খাল খনন করে কৃষির উন্নয়নে অসংখ্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন বলে উল্লেখ করেন ড. খন্দকার মোশাররফ।

তিনি বলেন, বিদেশে জনশক্তি রপ্তানির মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা অর্জনের পথ তৈরি করে গেছেন জিয়াউর রহমান। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিক রপ্তানি শুরু করেন। মুসলিম বিশ্বে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সম্মানিত ও সুপরিচিত নেতা। তিনি ছিলেন আল কুদস কমিটির সদস্য। সুতরাং প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে কোথা থেকে বাদ দেবেন?

আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আজকে যারা ক্ষমতায় তারা ফ্যাসিস্ট। তারা স্কুলের বই থেকে জিয়াউর রহমান সম্পর্কে সঠিক ইতিহাস সরিয়ে দিছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে তার নাম রাখা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংযোজন করেছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেটা বাতিল করেছে। খালেদা জিয়ার শাসনামলে বাংলাদেশের পরিচিতি ছিল ‘ইমার্জিং টাইগার’। সেজন্যই তারা জিয়া পরিবারকে ভয় পায়।

সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক ডা. মেহেদী হাসানের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শহীদুল আলম, ড্যাবের সহ-সভাপতি ডা. এমএ সেলিমসহ প্রমুখ।

 

সুত্রঃ জাগো নিউজ