বৃহস্পতিবার , ১১ এপ্রিল ২০১৯ | ১৪ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

জিউপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হতে চান যুবলীগ নেতা মানিরুল

Paris
এপ্রিল ১১, ২০১৯ ১২:২৫ অপরাহ্ণ

মইদুল ইসলাম মধু, পুঠিয়া:
সদ্য সমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন যেতে না যেতেই রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় বইছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের হাওয়া। সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে গণসংযোগ করছেন। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছাড়াও সম্ভাব্য প্রার্থীরা অংশ নিচ্ছেন এলাকার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে।

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের মধ্যে পুঠিয়া সদর ও জিউপাড়া এ দুটি ইউনিয়ন পরিষদের ২০১৪ সালে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে চলতি বছরের জুন মাসে। সবকিছু ঠিক থাকলে নিবাচন কমিশন থেকে অচিরেই এ দুটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করা হতে পারে।

ফলে তফসিল ঘোষনার আগেই ইউনিয়ন দুটির সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা এখন প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকার ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি নিয়মিত গণসংযোগ করে এলাকার ভোটারদের সাথে পরিচিত হচ্ছেন দুই ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, জিউপাড়া ইউনিয়ন এলাকায় নিয়মিত গণসংযোগের পাশাপশি বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ব্যানার ফেস্টুন টাঙ্গিয়ে নিজের প্রার্থীতার জানান দিচ্ছেন ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ব্যবসায়ী মানিরুল ইসলাম (৪৩)। তিনি জিউপাড়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়নের বিলমাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা আলহাজ শাহজাহান আলীর ছেলে। শাহাজাহান আলীর ৭ ছেলে ২ মেয়ে সন্তানের মধ্যে মানিরুল ইসলাম দ্বিতীয়।

তার পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, বাবা শাজাহান আলী মন্ডল দীর্ঘদিন ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করায় ছাত্র জীবন থেকেই আ.লীগের সহযোগী সংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি ১৯৯২ সালে ধোপাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৯৪ সালে লস্করপুর ডিগ্রি মহাবিদ্যানিকেতন কলেজ থেকে এইসএসসি ও ১৯৯৬ সালে চারঘাট সরদহ মহাবিদ্যালয় ডিগ্রি কলেজ থেকে বিএ পাশ করেই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হন। ব্যবসার পাশাপশি আ.লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের রাজনীতি করে পেয়েছেন ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতির পদ।

তবে তিনি বর্তমানে দলের কোন সঙ্গঠনের পদে না থাকলেও দলের সকল কর্মকান্ড সক্রিয় ভুমিকা পালন করছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুটি ছেলে সন্তানের জনক। ২০১৪ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি জিউপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দীতা করে ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়ে স্বল্প কিছু ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। নির্বাচনে পরাজিত হলেও জনপ্রতিনিধি হওয়ার ব্যপারে মানষিক দিক দিয়ে ছিলেন অটল। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে দলের উচ্চ পদস্ত নেতাদের সমর্থন আদায়ে চালাচ্ছেন তদবির।

নির্বাচনে কেন অংশ নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মানিরুল ইসলাম বলেন, আমার বাবা আ.লীগের রাজনীতির মাধ্যমে সারাজীবন জিউপাড়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগনের সেবা করে এসেছেন। আমাদেরও তিনি পারিবারিকভাবে সেই শিক্ষা দিয়েছেন। ইউনিয়ন বাসীর সেবা করতে এবং অবহেলিত ইউনিয়নের উন্নয়ন করতে নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে চাই। সেবা তো বর্তমান অবস্থান থেকেও করা যায় নির্বাচনে অংশ নিয়ে কেন? জবাবে বলেন, বর্তমান অবস্থান থেকেও মানুষের সেবা করা যায় তবে সেটা কম পরিসরে কিন্তু জনপ্রতিনিধি হলে সেবার পরিধিটা অনেক বড় পরিসরে থাকে।

স/আ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর