শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য কমনওয়েলথ গেমসের দলে রাখা হয়নি জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলমকে। তাকে রাখা হয় স্ট্যান্ডবাই তালিকায়।
জাহানারা কীভাবে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন, সে ব্যাপারে খোলামেলা কিছুই জানায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
মালয়েশিয়া সফরের আগেই বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজনকে লিখিতভাবে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অভিযোগ করেছেন জাহানারা। চিঠিতে দলের কোচ একেএম মাহমুদুল ইমন ও নির্বাচক মঞ্জুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু খেলোয়াড়ের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছেন জাহানারা।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাহানারার অভিযোগের সত্যতা পায়নি বিসিবি। বরং শৃঙ্খলাজনিত কারণে অভিজ্ঞ এ নারী ক্রিকেটারের বাদ দেওয়াকে দলের স্বার্থে যৌক্তিক মনে করেন বোর্ড কর্মকর্তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা জানান, কোচিং ও সাপোর্ট স্টাফ নিয়োগে হস্তক্ষেপ করছিলেন জাহানারা। বিসিবি নারী বিভাগের চেয়ারম্যান শফিউল আলম নাদেলের কথাতেও সেটা পরিস্কার। যদিও এ ব্যাপারে জাহানারার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বিসিবি থেকে তাকে বারণ করে দেওয়া হয়েছে মিডিয়ায় কথা বলতে।
জাহানারার লিখিত অভিযোগ এবং বিসিবির অবস্থান সম্পর্কে বিসিবির ওমেন্স উইংয়ের প্রধান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, কোনো খেলোয়াড়ের বাদ পড়া, আবার যুক্ত হওয়া এটা খুব স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আমরা আমাদের দলটা সাজাচ্ছি। কিন্তু আমার কম্পিউটারে কাকে নিচ্ছি, টিমবয় কাকে নিচ্ছি, এটা কে নির্ধারণ করবে?
শৃঙ্খলা প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, আমার কাছে কিছু প্রমাণ আছে। আমি দেখাতে চাই না, দেখালে আপনারাই লজ্জা পাবেন। এখানে পক্ষ-বিপক্ষের বিষয় নেই। আমরা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় যেতে চাই। তারা আমাদের সন্তানতুল্য, ছোট বোনের মতো। তাদের চলার পথে কিছু ভুলভ্রান্তি থাকতেই পারে। সেটা অভিভাবকসুলভ মনোভাব দিয়ে সংশোধন করার দায়িত্ব আমাদের।
সূত্রঃ যুগান্তর