জার্মানিতে ‘ওমিক্রন’ শনাক্ত

আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ (B.1.1.529) এবার জার্মানিতেও পাওয়া গিয়েছে। হেসেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কাই ক্লোজ শনিবার এক টুইট বার্তায় এই তথ্য জানান। আক্রান্ত ব্যক্তিটি ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দর হয়ে জার্মানিতে প্রবেশ করেছিল। এছাড়াও শনিবার বায়ান মিউনিখে আফ্রিকা থেকে আসা দুইজনের শরীরে করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।

ইউরোপে সর্ব প্রথম করোনার এই ধরণ শনাক্ত হয়েছে বেলজিয়ামে। এছাড়া আফ্রিকার ছোট দেশ বোতসোয়ানা, ইসরাইল ও হংকংয়েও সন্ধান মিলে এ ভ্যারিয়েন্টের।
ইতোমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের নতুন এই ধরণটি মূল ভাইরাস ও তার অন্য রূপান্তরিত ধরনগুলোর চেয়ে অনেক দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়তে বা মানুষকে আক্রান্ত করতে সক্ষম।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রাথমিক যেসব তথ্য পাওয়া গেছে সেসব পর্যালোচনা করে বোঝা যাচ্ছে- করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিরাও ওমিক্রনে আক্রান্ত হতে পারেন। ২৫ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয় বি.১.১৫২৯ নামের এই রূপান্তরিত ধরনটি, পরে গ্রিক বর্ণমালা অনুসারে যার নাম দেওয়া হয় ওমিক্রন। ইতোমধ্যে এই ধরনটি দক্ষিণ আফ্রিকার বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে।

এদিকে জার্মানিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৭২,১৫৯ জন এবং মারা গিয়েছে ৩৭৪ জন। এখন পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় ৫৮ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গিয়েছেন ১,০১,৩৩৮ জন মানুষ।

করোনা সংক্রমন ঠেকাতে সরকার বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ জারি করেছে জার্মানিতে। সকল প্রকার গনপরিবহনে ৩ জি নিয়ম অর্থাৎ করোনার টিকা দেয়া থাকতে হবে অথবা ছয় মাসের মধ্যে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে এমন হতে হবে অথবা ২৪ ঘন্টার মধ্যে টেষ্ট করে নেগেটিভ রিপোর্ট থাকতে হবে। অন্যথায় কোন প্রকার পরিবহনে উঠা নিষেধ। সকল প্রকার কর্মক্ষেত্রেও এই নিয়ম চালু রয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি রাজ্যে আসন্ন বড় দিন উপলক্ষে আয়োজিত ক্রিসমাস মার্কেট বাতিল করা হয়েছে।

 

সুত্রঃ যুগান্তর