সোমবার , ২ জানুয়ারি ২০১৭ | ২৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

জানাজায় অংশ নিয়ে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দাবি এমপিদের

Paris
জানুয়ারি ২, ২০১৭ ৬:১৬ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

আততায়ীর গুলিতে নিহত আওয়ামী লীগদলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের জানাজায় অংশ নিয়ে বর্বর এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সরকার ও বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা। তারা মন্ত্রীদের মতো এমপিদেরও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

আজ সোমবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লিটনের জানাজায় অংশ নিয়ে এ দাবি জানান সংসদ সদস্যরা। জানাজা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লিটনের মরদেহে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শোকার্ত শেখ হাসিনা প্রথমে সরকারপ্রধান হিসেবে ও পরে দলীয় নেতাদের নিয়ে দলীয় প্রধান হিসেবে মরদেহে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। পরে তিনি নিহতের পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন। এ সময় পুরো দক্ষিণ প্লাজাজুড়ে এক শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল সারোয়ার হোসেন, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, হুইপদের সঙ্গে নিয়ে চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার পক্ষে বিরোধীদলীয় হুইপ মো. নূরুল ইসলাম ওমরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, সংসদ সদস‌্য মাহাবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, বি এম মোজাম্মেল হক, শামীম ওসমানসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এ সময় সংসদ সদস্যদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান গাইবান্ধা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এমপিরা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছেন। অনেকেই ব্যক্তিগত নিরাপত্তা চেয়ে আবেবদনও করেছেন। কেউ কেউ নিরাপত্তা রক্ষী নিয়েছেন। কিন্তু সব সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ” এতে এমপিরা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন কিনা- জানাতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা নিরাপত্তা নিয়ে চলছি না? মন্ত্রীরাও তো চলছেন। নিরাপত্তা সবার আগে। ” এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি এটাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখছি না। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমার ঘরে ঢুকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করে পালিয়ে যাবে, তাহলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাজ কি?”

হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জামাত-শিবির জড়িত দাবি করে ডেপুটি স্পিকার বলেন, “তিনি (লিটন) ছিলেন স্পষ্টভাষী, যে কারণে জামায়াত-শিবির তাঁকে ভয় পেত। একসময় গোলাম আজম সুন্দরগঞ্জে জনসভা করতে চেয়েছিল, কিন্তু এমপি লিটন করতে দেননি। এমনিক চেষ্টা করেও গোলাম আজম সেখানে পা রাখতে পারেনি। সেখান থেকেই তাঁর প্রতি একটা আক্রোশের শুরু। ” দ্রুত ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা গ্রেপ্তার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। জানাজা শেষে লিটনের কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ করেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মাহাবুব-উল আলম হানিফ ও বিরোধীদলীয় সদস্য নূরুল ইসলাম ওমর। তাঁরাও সংসদ সদস্যদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

এ সময় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এমপি লিটনের ভগ্নিপতি আনন্দ গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. আবদুল্লাহেল বারী। তিনি বলেন, “জামায়াত-শিবির ও জঙ্গিগোষ্ঠী এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এই মোল্লা ও উগ্রবাদীদের অস্তিত্ব মুছে ফেলতে প্রয়োজনে আনন্দ গ্রুপের সব সম্পত্তি ব্যবহার করা হবে। ” জানাজা পরিচালনা করেন জাতীয় সংসদ সচিবালয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মো. নূরুল ইসলাম। জানাজা শেষে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। সকাল ১০টায় জানাজার জন্য লিটনের মরদেহ দক্ষিণ প্লাজায় আনা হয়। জানাজা শেষে সুন্দরগঞ্জ পাঠানোর জন্য কফিন বিমানবন্দরে নেওয়া হয়।

সূত্র: কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - রাজনীতি