জাতীয় স্মৃতিসৌধে নেপালের রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় এসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারী।

আজ সোমবার (২২ মার্চ) বেলা ১১টা ১০ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। ফুল দেওয়ার পর বেশ কিছু সময় দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন। এ সময় বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। গার্ড অব অনার দেয় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল।

এর আগে আজ সকাল ১০টার দিকে বিদ্যা দেবী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী চার্টার্ড বিমানটি ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বিমানবন্দরে নেপালের প্রেসিডেন্টকে অভ্যর্থনা জানান। এসময় ২১ বার তোপধ্বনির পর, বিমানবন্দরে নেপালের প্রেসিডেন্টকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

সফরসূচি অনুযায়ী বিকেলে নেপালের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রথমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাক্ষাৎ করবেন। ওই সাক্ষাতের পর নেপালের প্রেসিডেন্ট জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখানে তিনি ‘সম্মানিত অতিথি’  হিসেবে ‘নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ’ শীর্ষক বক্তব্য দেবেন।

ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও সভাপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য দেবেন। এখানে বাংলাদেশ ও নেপালের শিল্পীদের পরিবেশনায় একটি সাংস্কৃতিক পর্বেরও আয়োজন রয়েছে।

নেপালের প্রেসিডেন্ট আজ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সেখানে দুই দেশের মধ্যে চারটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হতে পারে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, প্রস্তাবিত চুক্তি বা এমওইউগুলো সই হলে দুই দেশের মধ্যে পর্যটন খাত, সাংস্কৃতিক যোগাযোগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার হবে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নেপালের প্রেসিডেন্ট ও তাঁর প্রতিনিধিদলের সম্মানে আজ নৈশভোজের আয়োজন করছেন।

নেপালের প্রেসিডেন্ট আগামীকাল মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) সকালে ঢাকার ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। দুপুরে নেপাল দূতাবাস পরিদর্শন শেষে বিকেলে তাঁর ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ