শুক্রবার , ১৪ জুন ২০২৪ | ১লা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

জাতিকে সুগঠিত করতে হলে দরকার সুশিক্ষা

Paris
জুন ১৪, ২০২৪ ৬:৪৭ অপরাহ্ণ

।। ড. শেখ মেহেদী হাসান ।।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থের প্রথমেই তার একটি উদ্ধৃতি রয়েছে, সেখানে তিনি তার আত্মপরিচয় দিয়েছেন প্রথমে মানুষ এবং তার পর বাঙালি হিসেবে। তিনি লিখেছেন, ‘একজন মানুষ হিসেবে সমগ্র মানবজাতি নিয়েই আমি ভাবি। একজন বাঙালি হিসেবে যা কিছু বাঙালিদের সঙ্গে সম্পর্কিত তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়। এই নিরন্তর সম্পৃক্তির উৎস ভালোবাসা, অক্ষয় ভালোবাসা, যে ভালোবাসা আমার রাজনীতি এবং অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে।’ মানুষের জন্য ভালোবাসা ছিল বঙ্গবন্ধুর কর্মকাণ্ডের প্রেরণা এবং মানুষের কল্যাণই ছিল তার কর্মকাণ্ডের লক্ষ্য। এই মানবিক মূল্যবোধই তাকে অনুপ্রাণিত করেছিল রাজনৈতিক সংগ্রামে অংশগ্রহণ করতে, যা প্রতিফলিত হয় তার বিভিন্ন রাজনৈতিক আদর্শে, যেমন গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা ও সমাজতন্ত্র। তিনি প্রায়ই বলতেন, তার সারা জীবনের স্বপ্ন হচ্ছে ‘দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো’। ‘দুঃখী মানুষের মুখে হাসি’ তার এই অভিব্যক্তি থেকেই আমরা বুঝতে পারি সমাজ উন্নয়ন সম্পর্কে তার ধারণা ছিল কত ব্যাপক এবং বহুমাত্রিক। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য বঙ্গবন্ধুর কাছে সবচেয়ে গুরুত্ব পেয়েছিল শিক্ষা। জাতির মানস গঠনের মূল ভিত্তিই শিক্ষা। দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আদর্শ মানবসম্পদ গড়ে তোলাই ছিল বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শনের মূল বিষয়। তিনি বিশ্বাস করতেন, শিক্ষা একটি মৌলিক অধিকার এবং ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষে সবার শিক্ষার জন্য সমান সুযোগ থাকা আবশ্যক।

বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও মাতৃভাষার ওপর সব সময় গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বাংলা ভাষার জন্য আন্দোলন-সংগ্রামের পাশাপাশি মাতৃভাষার প্রতি সব নাগরিককে যত্নবান ও শ্রদ্ধাশীল হতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। বঙ্গবন্ধু এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে ভেবেছেন ছোটবেলা থেকেই। ওই বয়সেই, নিজের জন্য নয়, বরং স্কুলের ছাত্রাবাস মেরামতের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মতো নেতার কাছে। আর মাতৃভাষাকে সর্বত্র অগ্রাধিকার দেওয়ার শিক্ষা বঙ্গবন্ধু আমাদের দিয়েছেন। ১৯৪৮ সালের মার্চ মাসের দ্বিতীয়ার্ধে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে একটি প্রচারপত্র বিলি করা হয়। ওই প্রচারপত্র রচনায় প্রধান ভূমিকা পালন করেন বঙ্গবন্ধু।

১৯৪৭-এর পর থেকে এই ভূখণ্ডের মানুষের অধিকার আদায়ের প্রতিটি লড়াইয়ে জড়িত ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি নিজেকে ছাত্র সংগ্রাম বা শিক্ষা সংগ্রামের ঘটনাপ্রবাহ থেকে কখনই দূরে রাখেননি। ছাত্রজীবন থেকে মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষা, শোষিত মানুষের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও মানুষের মুক্তির জন্য তার প্রচেষ্টা ছিল সর্বাত্মক। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ এই সময়ে পশ্চিম পাকিস্তানের পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ এবং বাংলার মানুষকে দাবিয়ে রাখার লক্ষ্যে শিক্ষার আলো থেকে দূরে রাখাই ছিল তাদের আসল উদ্দেশ্য। শিক্ষাব্যবস্থায় নেমে এসেছিল দুর্দশা। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা সব ক্ষেত্রেই বৈষম্যের শিকার হয়েছিল পূর্ববাংলার মানুষ। প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৯ হাজার থেকে বাড়ার পরিবর্তে কমে হয়েছিল ২৮ হাজার। এ ছাড়া শিক্ষা খাতে বাজেট, শিক্ষক নিয়োগ সবকিছুতেই পূর্ব-পশ্চিম বৈষম্য ছিল।

১৯৪৭ থেকে ১৯৭১, এই সময়ের মধ্যে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী মোট ৬টি প্রধান শিক্ষা কমিশন গঠন করে। তবে প্রতিটি কমিশন-রিপোর্টে সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে পূর্ববাংলার মানুষের সঙ্গে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। ১৯৫২ সালে মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ শিক্ষা কমিশন, ১৯৫৭ সালে আতাউর রহমান খান শিক্ষা কমিশন, ১৯৫৯ সালে এসএম শরীফ কমিশন, ১৯৬৪ সালে বিচারপতি হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশন, ১৯৬৯ সালে এম নূর খান কমিশন এবং ১৯৭০ সালে শামসুল হক কমিশন গঠন করা হয়। এই স্বল্প সময়ের মধ্যে ছয়টি শিক্ষা কমিশন গঠন করার দুটো অর্থ হতে পারেÑ প্রথমত, কোনো কমিশনের সুপারিশ দেশের মানুষ মেনে নেয়নি। দ্বিতীয়ত, পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী শিক্ষা বিষয়ে তাদের একতরফা ও বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত বারবার বাংলার জনগণের ওপর চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। এই ভয়াবহ বৈষম্যমূলক অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে বঙ্গবন্ধু এ দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি প্রাক-স্বাধীনতা পর্বে সব সময় শিক্ষার প্রশ্নে সোচ্চার ছিলেন। মুসলিম লীগের ম্যানিফেস্টোতে নারী-পুরুষের শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা, শিক্ষাবৃত্তি চালু, মাতৃভাষায় শিক্ষার কথা বলেছেন তিনি। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহারে বঙ্গবন্ধুর ২১ দফার দুটিতে শিক্ষার কথা বলেছেন। গণপরিষদের সদস্য হিসেবে বারবার শিক্ষা প্রশ্নকে সামনে এনেছেন। নিম্নস্তর থেকে উচ্চস্তর পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষার দাবি তুলেছেন।

বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষের নাড়ির স্পন্দন বুঝতে সক্ষম হয়েছিলেন, যার পরিণতি আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ। স্বাধীনতার পর, বিধ্বস্ত অবকাঠামো ও অর্থনীতি নিয়ে, বাঙালি জাতির উন্নতির জন্য আধুনিক শিক্ষা চালু করাই ছিল তখন অন্যতম চ্যালেঞ্জ। বঙ্গবন্ধু উপলব্ধি করেছিলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পুনর্গঠনের জন্য জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন উপযুক্ত শিক্ষিত জনগোষ্ঠী। এ বিষয়ে তার চিন্তাধারা প্রতিফলিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন বক্তব্য, নীতি ও কর্মকাণ্ডের মধ্যে। ১৯৭০-এর উত্তাল দিনগুলোতেও বঙ্গবন্ধু বিভিন্ন সময় তার বক্তৃতায় শিক্ষার গুরুত্ব সরাসরি উল্লেখ করেছেন। তিনি একাধিকবার ‘সোনার বাংলা’ গড়তে ‘সোনার মানুষ’ গড়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাভাবনায় অন্তর্ভুক্ত ছিল বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষার বিষয়টিও। বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক হয় ১৯৯০ সালের পর। অথচ কতটুকু দূরদৃষ্টিসম্পন্ন হলে একজন নেতা হিসেবে তিনি এই বিষয়টির ওপর গুরুত্ব প্রদান করেছিলেন তারও বিশ বছর আগে।

স্বাধীন বাংলাদেশে শিক্ষা সংস্কারে বঙ্গবন্ধু রবীন্দ্রনাথের মতোই ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে কর্তব্য হিসেবে মনে করতেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে শিক্ষাকে গুরুত্ব, নিজের শিক্ষাভাবনাকে বাস্তবায়ন করতে প্রণয়ন করেছেন নিজস্ব শিক্ষা কমিশন এবং প্রণয়ন করেছেন পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় জাতির পিতার নির্দেশে কারিগরি, প্রকৌশল এবং কৃষি শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। ১৯৭২ সালে ড. কুদরাত-ই-খুদাকে প্রধান করে বঙ্গবন্ধু একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। কমিশনের প্রধান কাজ ছিল চলমান শিক্ষাব্যবস্থাকে মূল্যায়ন করা এবং সত্যিকারের সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য যথাযথ শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলনের ব্যাপারে সুপারিশ করা।

ড. কুদরাত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশনের প্রধান পর্যবেক্ষণগুলো ছিল নিম্নরূপÑ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশার প্রতি আকর্ষিত করা, শিক্ষকদের জন্য ভালো পারিশ্রমিক নিশ্চিত করা, শিক্ষার সব পর্যায়ে বাংলাকে শিক্ষার মাধ্যম করে তোলার পদক্ষেপ গ্রহণ, ইংরেজি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ভাষা শেখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া, শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নের সহায়ক হিসেবে উচ্চশিক্ষাব্যবস্থাকে গড়ে তোলা, জাতীয় উন্নয়নের জন্য ফলিত গবেষণার ওপর জোর দেওয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার পরিবেশ সৃষ্টি করা, সবার জন্য শিক্ষার সমান সুযোগ সৃষ্টি এবং শিক্ষাকে একটি বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করা, প্রতিবছর জাতীয় আয়ের শতকরা ৫ শতাংশ শিক্ষা খাতে ব্যয় করতে হবে এবং ক্রমান্বয়ে তা ৭ শতাংশে বৃদ্ধি করা। বঙ্গবন্ধু এই প্রতিবেদনের সুপারিশগুলো আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের আগস্ট মাসে তাকে নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করার ফলে এগুলো আর বাস্তবায়নের সুযোগ তিনি পাননি।

বঙ্গবন্ধু এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন যার মাধ্যমে মানুষকে সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে। দেশের সুষম ও টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করাই ছিল তার উদ্দেশ্য। বঙ্গবন্ধু শিক্ষাক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দকে ‘বিনিয়োগ’ নামে অভিহিত করেছিলেন। সমবায় সমিতি গঠন করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন। চার মূলনীতির মাধ্যমে তিনি দেশের দুঃখী, বঞ্চিত, শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষের মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করেন। তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন— জাতিকে সুগঠিত করতে হলে সর্বপ্রথম দরকার সুশিক্ষা।

ড. কুদরত-ই-খুদা রিপোর্টের সুপারিশ অনুযায়ী, ১৯৭৩ সালে চারটি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করার জন্য পৃথকভাবে চারটি আইন প্রণীত হয়। এই আইন প্রথমে অধ্যাদেশ হিসেবে জারি করা হয়। পরে তা সংসদে আইন হিসেবে গৃহীত হয়। এই স্বায়ত্তশাসন প্রদানের মাধ্যমে, দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীন চিন্তা ও মতপ্রকাশের স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন জাতির পিতা। বঙ্গবন্ধুর আর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল বিশ্ববিদ্যালয় আর সরকারের মাঝখানে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করার জন্য ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্ব^র বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন প্রতিষ্ঠা, যা পরবর্তীকালে ১৯৭৩ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ১০-এর মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার সর্বোচ্চ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিধিবদ্ধ হয়। বঙ্গবন্ধু সরকারের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন একজন শিক্ষক, অধ্যাপক ইউসুফ আলী। পর্যায়ক্রমে শিক্ষাসচিব ছিলেন ড. এ আর মল্লিক, ড. আবদুল্লাহ্ আল-মুতী শরফুদ্দিন, অধ্যাপক কবীর চৌধুরী। সেই ধারাবাহিকতার সমাপ্তি অনেক আগে হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পাশাপাশি বিপুল পরিবর্তন হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাতৃসম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নান্দনিক নেতৃতে। বঙ্গবন্ধুর সময় দেশে জনসংখ্যা ছিল সাড়ে সাত কোটি। বর্তমানে প্রায় ১৭ কোটি। সেই সময় সাক্ষরতার হার ছিল ২০ শতাংশ। বর্তমানে তা ৭৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

আমরা জানি, জনগণের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে চিন্তার বিকাশের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছিল বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব। সে চিন্তার জগৎজুড়ে ছিল মানুষের মুক্তি, মানুষের জন্য উন্নয়ন-ভাবনা। তিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই করেছেন আজীবন। জাতির পিতা বুঝতে পেরেছিলেন মুক্তচিন্তার চর্চা ছাড়া জ্ঞানের বিকাশ ঘটানো সম্ভব নয়। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার। জাতির পিতা তার স্বপ্নের বীজ বুনে দিয়ে গেছেন। দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে উন্নত করতে হলে আমাদের বঙ্গবন্ধুর কাছেই ফিরে যেতে হবে।

ড. শেখ মেহেদী হাসান : গবেষক ও প্রাবন্ধিক

সর্বশেষ - মতামত