জনপ্রিয়তা পাচ্ছে আরডিএ’র ভেলপুরি

জেসমিন আরা ফেরদৌস:

টক-ঝাল স্বাদের মজাদার ভেলপুরি। নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে। মেয়েদের পছন্দের খাবার তালিকার শীর্ষে থাকলেও এই ভেলপুরি ছেলে-মেয়ে উভয়ের কাছেই খুব জনপ্রিয়। রাজশাহীর আরডিএ মার্কেটে পাওয়া যায় এমন ই এক ভেলপুরি যা স্বাদে অন্যান্য আর সব ভেলপুরির চেয়ে আলাদা।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) কথা হয় ভেলপুরি বিক্রেতা নূর মোহাম্মদের সাথে। হাজরা পুকুর নতুন কলনীর বাসিন্দা তিনি। তিনি বলেন, ১৪ বছর ধরে আমি এই ভেলপুরি বিক্রির পেশায় জড়িত আছি। এর আগে ঢাকায় একটি ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলাম। ৫ সদস্যের পরিবারে আছে স্ত্রী,২ ছেলে ও ১ মেয়ে। মেয়ে ৯ম শ্রেনীতে,এক ছেলে ৭ম এবং আরেক ছেলে ৫ম শ্রেনীতে পড়ালেখা করে।

তার এই ভেলপুরির জনপ্রিয়তার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি সিল্কসিটি নিউজ কে জানান, এর পেছনে আছে আমার পরিশ্রম। ১৬ ঘণ্টা সময় ব্যায় করে আমি এই ভেলপুরি বানায়। ভেলপুরির ভেতরে থাকে মটর যা বানাতে সময় লাগে ৮-১০ ঘন্টা।আর ডাল পুরি বানাতে লাগে ৮ ঘন্টা।

প্রতিবেদকের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রতিদিন প্রায় দেড়-দুই হাজার ভেলপুরি বিক্রি করি। যা থেকে আয় হয় প্রতিদিন ৫-৬ হাজার টাকা। যে একবার তার এই ভেলপুরি খান তিনি তার নিয়মিত গ্রাহক হয়ে যান।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,রাজশাহী শিক্ষানগরী। এখানের বেশির ভাগ ক্রেতা শিক্ষার্থী। যদি আমি দোকানে বিক্রি শুরু করি তাহলে আমার ক্রেতার সংখ্যা কমে যাবে৷ এর আগে একবার দোকান দিয়ে আমার ৮ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। তাই আর আমার দোকান দেওয়ার ইচ্ছা নাই। অন্যসব পেশার চেয়ে এই পেশায় টাকার পরিমান বেশি বলে আমি ভেলপুরি বিক্রির পেশা কে বেছে নিয়েছি বলেও জানান তিনি।

ভেলপুরি খেতে আসা রাজশাহী কলেজের এক শিক্ষার্থী নাফিসা তাবাসসুম জানান, এখানের ভেলপুরির স্বাদ অসাধারণ। রাজশাহীর কোন স্থানে এর চেয়ে বেশি স্বাদের ভেলপুরি আমি খাইনি। তাই কিছুদিন পর পরই আমি এখানে ভেলপুরি খেতে আসি।

এএইচ/এস