বুধবার , ৪ জুলাই ২০১৮ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

জটিলতায় ডিএসসিসির ৩৭ মার্কেট, থমকে আছে নির্মাণকাজ

Paris
জুলাই ৪, ২০১৮ ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) রাজস্ব আয়ের অন্যতম খাত মার্কেট। সংস্থাটির ৮৬টি মার্কেট রয়েছে। তবে এসব মার্কেটের বেশির ভাগেরই অবস্থা জরাজীর্ণ। এগুলো মেরামত না করায় দোকানিরা ভাড়া পরিশোধে অনীহা প্রকাশ করছেন। আবার অনেকে মার্কেটের বিরুদ্ধে  দোকান সমিতির ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের মামলা রয়েছে। নানা অজুহাতে কেউ কেউ ভাড়াও বন্ধ করে দিয়েছেন। এ পরিস্থিতে ৩৭টি মার্কেট নতুন করে নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এর মধ্যে মাত্র একটি মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।

মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর রাজস্ব বাড়াতে মেয়র সাঈদ খোকন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মার্কেটগুলো নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন।

গত ২৫ এপ্রিল সংস্থার প্রধান প্রকৌশলী আলী আহমেদের সভাপতিত্বে ডিএসসিসির মালিকানাধীন বিভিন্ন মার্কেট পুনর্নির্মাণ/নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীরা ৩৭টি মার্কেটের বিস্তারিত তুলে ধরেন। এতে দেখা যায়, ১৬টি মার্কেটের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। ১০টির মতো রয়েছে অবৈধ দখলে। বাকি মার্কেটগুলো নির্মাণে রয়েছে নানা জটিলতা। তবে সব জটিলতা নিরসন করে নির্মাণ কাজ শুরু কাজ করছে ডিএসসিসি।

নিউ সুপার মার্কেট দক্ষিণ: ঐতিহ্যবাহী এই মার্কেটটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। দোকান মালিক সমিতি নিজ উদ্যোগে কিছু মেরামত করছে। সিটি করপোরেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই মার্কেটটি উপরের দিকে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলে দোকান মালিক সমিতি উচ্চ আদালতে ‘হেরিটেজ স্থাপনা হিসেবে’ একটি মামলা দায়ের করে। ফলে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

বনলতা কাঁচা বাজার/চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট: অত্যন্ত পুরানো ও ঝুঁকিপূর্ণ এই মার্কেটটি নতুন করে নির্মাণের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নিউ সুপার মার্কেট দক্ষিণের জটিলতার কারণে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডিজাইনের অনীহা দেখাচ্ছে বলে জানিয়েছেন অঞ্চল-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সি আবুল হাশেম। ফলে এটির নির্মাণে অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।

সেগুন বাগিচা কাঁচা বাজার: চার তলা মার্কেটটির চতুর্থ তলায় একটি কমিউনিটি সেন্টার রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সেটি স্থানীয় কাউন্সিল ফরিদ উদ্দিন আহমদ রতন দখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ অবস্থায় সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল মার্কেটটি সরেজমিন পরিদর্শন করেন। ভবনের জরাজীর্ণ লিফট, সিঁড়ি এবং পার্কিং ব্যবস্থা অপর্যাপ্ত। মার্কেটের পরিবেশ দুর্গন্ধযুক্ত হওয়ায় এতে কমিউনিটি সেন্টার চালু করা সমীচীন হবে না বলে মতামত দেওয়া হয়।

মতিঝিল সিটি সেন্টার: মতিঝিলে উত্তরা ব্যাংক ভবনের পাশে ২১ কাঠা জায়গায় ২০০৪ সালে সিটি সেন্টার ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১২ সালে ডিএসসিকে হস্তান্তর করে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন গ্রুপ। যানজট কমাতে ২০১৪ সালে ৫০০ গাড়ি রাখারও ব্যবস্থা হয় সেখানে। কিন্তু মূল উদ্দেশ্যই ভেস্তে যায়। কোনও গাড়িই এতে পার্কিং করা হচ্ছে না। এ অবস্থায় বরাদ্দ কমিটি মাসিক ২০ হাজার টাকায় ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেয়। মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি পাঠানো হয়েছে।

২ নং পলাশী মার্কেট: মার্কেটটিতে ৫৯টি দোকান রয়েছে। ডিএসসিসির মার্কেট নির্মাণ সেল থেকে সংস্থার অঞ্চল-৩ থেকে মার্কেটের সংশ্লিষ্ট নথি মার্কেট নির্মাণ সেলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেখান থেকে কোনও নথিপত্র পাঠানো হয়নি।

যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজার:  ৫ দশমিক ২১ একর জমির ওপর মার্কেটটি ডিএসসিসি ও ডিএনসিসির সমন্বয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। ডিএনসিসি ৩টি তলা নির্মাণ করবে। তবে ডিএনসিসি কাজ বন্ধ রেখেছে। এ ভবনের দোকান হবে ২ হাজার ১৫৭টি। এরই মধ্যে ১ হাজার ২৫২টি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কাওরান বাজারের ব্যবসায়ীদের জন্য রাখা হয়েছে ৮৯৫টি। কিন্তু এই মার্কেটটিতে যারা দোকান বরাদ্দ পেয়েছেন তাদের এখনও বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি।

সূত্রাপুর কাঁচাবাজার:  এ কাঁচাবাজারের বড় অংশ অবৈধ দখলে রয়েছে। কিছু অংশজুড়ে কাঁচাবাজার ও ডিএসসিসির অস্থায়ী ক্লিনার কলোনি রয়েছে।  পুরো জায়গা দখলমুক্ত না হওয়ায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।

কাপ্তান বাজার (মুরগি পট্টি): মার্কেটটি নির্মাণে টেন্ডার চূড়ান্ত করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে কাজ শুরু হবে বলে আশা করছে ডিএসসিসি।

বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স: ১৯৯৫ সালে সংস্থার নিজ খরচে নির্মাণ করা ১ দশমিক ৭৯ একর আয়তনের এ মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এর জন্যও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান থেকে ডিজাইন পাওয়া গেছে। এ-সংক্রান্ত অনুষ্ঠিত সভার পরবর্তী সাতদিনের মধ্যে সভা আহ্বান করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা থাকলেও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

ঢাকেশ্বরী রোড সাইড মার্কেট: বর্তমানে মার্কেটটির অবস্থা খুবই জরাজীর্ণ। এটি পুনর্নির্মাণে ঠিকাদার নিয়োগ করা হলেও পুরাতন অবকাঠামো অপসারণের বিষয়ে আদালতে মামলা থাকায় নির্মাণকাজ শেষ করা যাচ্ছে না।

চানখারপুল রোড সাইড মার্কেট: এটির নির্মাণ কাজ চলমান থাকলেও দোকান বরাদ্দ বিষয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। ফলে মার্কেট নির্মাণ শেষেও বরাদ্দ থেকে রাজস্ব আয় নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

কাপ্তান বাজার রোড সাইড মার্কেট: মার্কেটটি নির্মাণের জন্য ড্রয়িং ডিজাইন ও প্রাক্কলন প্রস্তুত করা হলেও এখনও আর্থিক ও প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া যায়নি।

সদরঘাট হকার্স মার্কেট: ১৯৫২ সালে এডিসি রেভিনিউ থেকে মার্কেটটি পেয়েছে ডিসিসি। পরবর্তীতে ১৯৭৫, ১৯৮৫ ও ২০০১ সালের বিভিন্ন সময়ে মার্কেটটি সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়। মার্কেটটির বিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির মামলা রয়েছে। তাছাড়া বুড়িগঙ্গা নদীর উন্নয়নের গৃহীত মেগা প্রকল্পের ডিজাইনের জন্য মার্কেটটি বাধা হয়ে দাঁড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে ডিএসসিসির। সংস্থার প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসূফ আলী সরদার বলেন, ‘আমরা বুড়িগঙ্গা উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মার্কেটটি নির্মাণ করতে চাই।’

ইসলামবাগ মার্কেট কাম কমিউনিটি সেন্টার: মার্কেটটি নির্মাণে নিয়োগ দেওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ করে চলে যায়।পরে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়ার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হলেও কর্তৃপক্ষ এখনও অনুমোদন দেয়নি।

ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২, ব্লক এ ও বি: এ মার্কেটের নির্মাণ কাজ চলছে। তবে মার্কেটের ব্লক এ-এর সিটি প্লাজার বেজমেন্টে অবৈধ ৫৫টি দোকান রয়েছে। দোকান মালিক সমিতির সঙ্গে দীর্ঘদিন মামলা শেষে হাইকোর্ট অবৈধ দোকান উচ্ছেদের রায় দেন। এরপর গত বছরের ৮ আগস্ট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার নেতৃত্বে চার প্লাটুন পুলিশ ফোর্স নিয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ১৫টি দোকানে তালাবদ্ধ করেই অভিযান শেষ করে ডিএসসিসির সম্পত্তি বিভাগ। পরে তালাবদ্ধ দোকানগুলোও খুলে দেওয়া হয়।

ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২, ব্লক-সি: সম্প্রতি বুয়েটের এক পরীক্ষায় চার তলা পর্যন্ত নির্মিত এ মার্কেটকে ঝুঁকিপূর্ণ বলা হয়েছে। এরপরও উপরে আরও তলা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে ডিএসসিসি। এ অবস্থায় ভবনটি ঊর্ধ্বমুখী ভার বহন করতে পারে কিনা সে বিষয়ে পরীক্ষার জন্য ফের বুয়েটে নমুনা পাঠানো হয়েছে। দোকানিদের সঙ্গে এ মার্কেটটি নিয়েও আদালতে মামলা রয়েছে।

পরিবাগ মার্কেট: ১৯৮৩ সালে গণপূর্ত বিভাগ মার্কেটটি পেয়েছে ডিএসসিসি। কিন্তু এটি ডিএসসিসির নামে রেকর্ডে নেই। সংশোধনে মামলা চলছে। ফলে মার্কেটের ডিজাইন চূড়ান্ত করা হলেও নির্মাণ কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। এই মার্কেটসহ জাকের সুপার মার্কেটের একটি ব্লকের ২৮২টি দোকানের ভাড়া পাচ্ছে না সিটি করপোরেশন। মার্কেট সমিতির নেতারা ভাড়া তুলে আত্মসাৎ করছেন।

বঙ্গবন্ধু এভিনিউ হকার্স মার্কেট: টিনশেডের মার্কেটটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণের জন্য ডিজাইন তৈরি করা হলেও মার্কেট সমিতির লোকজনের দায়ের করা মামলায় আটকে আছে নির্মাণকাজ।

খিলগাঁও কাঁচা বাজার: মার্কেট নির্মাণে ড্রয়িং ডিজাইন অনুমোদনের জন্য মার্কেট নির্মাণ সেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

লক্ষ্মীবাজার মার্কেট: পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শত কোটি টাকা মূল্যের এ মার্কেটটির কোনও দলিলপত্র নেই সিটি করপোরেশনের কাছে। ফলে মামলা মোকাবিলা করতে পারছে না সিটি করপোরেশন। জরাজীর্ণ মার্কেটটি যেকোনও সময় ধসে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বাদামতলী মার্কেট:  এই মার্কেটের জায়গার মাত্র ১৪ শতাংশ করপোরেশনের দখলে রয়েছে। বাকি ১৫ শতাংশ ভূমি নিয়ে স্থানীয় রিভারভিউ ক্লাব ও বাবুলি বেগম নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে মামলা চলছে। এই জায়গায় জরাজীর্ণ অবস্থায় একটি আংশিক পাকা মার্কেট আছে।

শ্যামবাজার: এ মার্কেটের জমির আয়তন ৮৩ দশমিক ১৬ শতাংশ। এর মধ্যে মাত্র ৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ জমি করপোরেশনের দখলে রয়েছে। এতে ১৯৯০ সালে ডিসিসির আংশিক অর্থায়নে দুই তলা মার্কেট নির্মাণ করা হয়। এটি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বাকি ৭৪ দশমিক ৫২ শতাংশ জায়গা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছে সিটি করপোরেশন।

ঠাটারীবাজার: ১৯৮৫ সালে এই মার্কেটটি এডিসি রেভিনিউ থেকে পেয়েছে তৎকালীন ডিসিসি। কিন্তু বর্তমানে এর মাত্র ১২ দশমিক ৮৩ শতাংশ করপোরেশনের দখলে রয়েছে। বাকি জায়গা করপোরেশনকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য জেলাপ্রশানকে চিঠি দিয়েছে সিটি করপোরেশন।

দয়াগঞ্জ রোড সাইড মার্কেট: ২০০৬ সালে দয়াগঞ্জের প্রধান সড়কের পাশে দুই তলা দয়াগঞ্জ ডিসিসি মার্কেটটি তৈরি করা হয়। মার্কেটটির চার শতাধিক দোকানের মধ্যে বরাদ্দ হয়েছে ১৭৫টি (নিচতলার)। মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। মার্কেটটি নিয়ে একটি মামলাও রয়েছে। এটির দোতলায় ক্লিনাররা বসবাস করছে।

নবাব ইউসূফ মার্কেট (১-৬): ৩ দশমিক ৯৪৪৭ একর আয়তনের দোতলা নওয়াব ইউসুফ আলী মার্কেটটি ১৯৮২ সালে তৎকালীন ডিআইটি থেকে পেয়েছে ডিসিসি। এটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এটি ভেঙে নতুন করে ভবন নির্মাণের জন্য ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্ট বাংলাদেশকে (আইএবি) নকশা করে দিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

আজিমপুর রোড সাইড মার্কেট: এ মার্কেটটি নির্মাণের জন্য ডিজাইনের কাজ চলছে। এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

মানিক নগর আধুনিক কাঁচাবাজার: ৫৩ দশমিক ৮১ একর আয়তনের জায়গায় মার্কেট নির্মাণ করতে চায় ডিএসসিসি। কিন্তু অবৈধ দখল রয়েছে। নির্মাণ কমিটির সভায় এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত হলেও এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

ইসলামবাগ কাঁচা বাজার: এ মার্কেটটি নির্মাণের জন্য ডিজাইনের কাজ চলছে। তবে এতে বেশকিছু অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। এগুলো এখনও উচ্ছেদ করা হয়নি।

ঋষিকেশ দাস রোড মার্কেট: ধোলাইখাল রোডে ৩২ দশমিক ৮৩ শতাংশ আয়তনের এ জায়গায় অনেক অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। প্রায় শতাধিক অবৈধ দোকান বসিয়ে স্থানীয় ১৮ জন প্রভাবশালী ব্যবসা করছেন। তাদের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের মামলা চলছে।

ঢাকা ট্রেড সেন্টার: গুলিস্তানের ঢাকা ট্রেড সেন্টারের এক হাজার ২০০ দোকান মালিক প্রায় ১৯ কোটি টাকা ভাড়া বকেয়া রেখেছেন। তাদের অভিযোগ, ১৯৯১ সালে ঢাকা ট্রেড সেন্টারের প্রতিটি দোকানের বরাদ্দ মূল্য ধরা হয়েছিল এক লাখ টাকা। তবে পরে করপোরেশন সেটা বাড়িয়ে করে তিন লাখ টাকা। এ ঘটনায় দোকানিরা আটটি মামলা দায়ের করেছেন।

সিদ্দিকবাজার মার্কেট: ভবনের অবকাঠামোগত প্ল্যান অনুমোদনের জন্য ফাইল পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনও অনুমোদন পায়নি।

৩৮/৬ নর্থ ব্রুক হল রোড সাইড মার্কেট: এ মার্কেট এলাকায় করপোরেশনের একটি টিনশেডের জরাজীর্ণ স্থাপনা ও কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে।

ভিক্টোরিয়া পার্ক মার্কেট: ১৯৮৬ সালে তৎকালীন ডিআইটি থেকে মার্কেটটি পেয়েছে। বর্তমানে এতে একটি জরাজীর্ণ ভবন ও একাধিক অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। নতুন করে একটি মার্কেট নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সিমসন রোড সাইড মার্কেট: ১৯৯২ সালে একটি মার্কেট নির্মাণ করে সিটি করপোরেশন। বর্তমানে এতে একটি জরাজীর্ণ ভবন ও একাধিক অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। নতুন করে একটি মার্কেট নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নবাবগঞ্জ কাঁচাবাজার মার্কেট: ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ আয়তনের জায়গাটিতে দোতলা একটি জরাজীর্ণ ভবন রয়েছে। রয়েছে একাধিক অবৈধ স্থাপনাও। এ অবস্থায় নতুন করে একটি মার্কেট নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সিটি করপোরেশন।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সংস্থার প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসূফ আলী সরদার বলেন, ‘কয়েকটি মার্কেট নিয়ে মামলা চলছে। আইন বিভাগের মাধ্যমে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করে মার্কেটগুলো পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। কিছু কিছু মার্কেটের ডিজাইন চূড়ান্ত করা হয়েছে। একটির নির্মাণ কাজ চলছে। অল্প সময়ের মধ্যে কয়েকটির নির্মাণকাজ শুরু করার চেষ্টা চলছে।’

সর্বশেষ - জাতীয়