জঙ্গিদের ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি আদালতের

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে যৌথ বাহিনীর কমান্ডো অভিযানে নিহত পাঁচ জঙ্গির ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। গুলশান হামলা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের ইন্সপেক্টর হুমায়ুন কবির সোমবার ঢাকার সিএমএম কোর্টে পাঁচ জঙ্গির ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি নেন।
পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-কমিশনার আমিনুর রহমান জানান, ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি চাইলে আদালত তাদের আবেদন মঞ্জুর করেন। নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হতে তাদের পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়।
এছাড়াও নিহত পাঁচ জঙ্গির অস্থি-মজ্জা ও রক্ত মাখা জামা-কাপড়, রক্ত ও চুল জব্দ ও সংগ্রহ করার অনমুতি চাওয়া হয়েছে আদালতের কাছে।
এর আগে গত ৬ জুলাই এ মামলার নথি (এফআইআর) আদালতে উপস্থাপন করা হলে আগামী ২৪ আগষ্ট মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, নিহত পাঁচ জঙ্গির ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়াও সন্দেহভাজন জঙ্গিদের কাছ থেকেও ডিএনএ আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া, ঘটনাস্থল থেকেও শতাধিক আলামত সংগ্রহ করা হয়।
এদিকে, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও গুলশান হামলায় নিহতদের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডা. সোহেল মাহমুদ বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ময়নাতদন্তের সময়েই জঙ্গি ও বিদেশি নাগরিকসহ নিহত সবার ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে রেখেছেন তিনি।কেননা পরে প্রয়োজন হলে সেটা আর পাওয়া যায় না। এসব নমুনা তদন্তে সহায়ক হিসেবে কাজে লাগবে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও ১৭ বিদেশিসহ ২০জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। পরদিন যৌথবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় পাঁচ জঙ্গিসহ ছয় জন। যাদের একজন হলি আর্টিজানের শেফ সাইফুল ইসলাম চৌকিদার। তিনি জঙ্গিদের সহযোগী বলে দাবি করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

 

পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একই রেস্টুরেন্টের কর্মচারী জাকির হোসেন শাওন। তাকে জঙ্গিদের সহযোগী সন্দেহে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পুলিশ পাহারায় রাখা হয়েছিল।

সূত্র: বাংলাট্রিবিউন