ছেলেধরা আতঙ্কে ইশ্বরদীর স্কুলগুলোতে কমেছে উপস্থিতি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

‘পদ্মা সেতুতে মাথা লাগবে’ এমন ছেলেধরা গুজবে পাবনার ঈশ্বরদীর স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমে গেছে। বুধবার উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতি অনেক কম। পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় সংবাদপত্রগুলোতে নিয়মিত এই গুজবে কান না দেয়ার জন্য বারবার প্রচরণা চালিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না।

জানা গেছে, গুজবকে কেন্দ্র করে ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে অভিভাবকরা। বিশেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়েই বেশী প্রভাব পড়েছে। গত দুই দিনে একটি শিশু ও নারীর লাশ পদ্মানদী হতে উদ্ধারের পর ঈশ্বরদীজুড়ে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এরমধ্যে সোমবার সন্ধ্যার পর এক নারী মানসিক রোগী ও মঙ্গলবার এক দিন মজুরকে ছেলেধরা সন্দেহে পিটুনি দিয়ে থানায় সোপর্দের ঘটনা ঘটেছে। এই দুজনের ঘটনায় রঙ লাগিয়ে শহর ও গ্রাম এলাকায় প্রচারিত হয়।

দাশুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুন্নাহার জানান, ছেলেধরা গুজব ভালোভাবেই কাজ করছে। যে কারণে মঙ্গলবার ও বুধবার উপস্থিতি কম।

স্কুলপাড়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, এসেম্বলিতে সচেতন করার পরও ছেলেধরা গুজবের কারণে অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আসতে দিচ্ছে না।

এয়ারপোর্ট স্কুলের প্রধানশিক্ষক পূর্নিমা রায় বলেন, ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিতি ৪০ শতাংশ কম।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহম্মদ হোসেন ভূইয়া ঈশ্বরদী থানার পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে মঙ্গলবার হতে পর্যায়ক্রমে স্বশরীরে স্কুলে স্কুলে যেয়ে সচেতনতার জন্য সভা করছেন। ঈশ্বরদী থানার ওসি তদন্ত অরবিন্দ সরকার জানান, এটি নিঃসন্দেহে গুজব। মঙ্গলবার হতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ হতে সচেতনতামূলক মাইকিং শুরু হয়েছে।