ছিলেন টাটা গ্রুপের প্রধান, সাইরাস মিস্ত্রির অজানা তথ্য

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

মাত্র ৫৪ বছর বয়সে মারা গেলেন টাটা সন্সের সাবেক চেয়ারম্যান সাইরাস পালোনজি মিস্ত্রি। জনপ্রিয় এই উদ্যোক্তার আকস্মিক মৃত্যুতে ভারতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

গতকাল রবিবার গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে মুম্বাইয়ে ফিরছিলেন সাইরাস মিস্ত্রি। স্থানীয় সময় দুপুর ৩টা ১৫ মিনিট নাগাদ সূর্য নদীর উপর ব্রিজে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তার গাড়ি।

পুলিশের পক্ষ থেকে আপাতত ঘটনার তদন্ত চালানো হচ্ছে। কীভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল গাড়িটি, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

ভারতের অন্যতম সফল শিল্পপতিদের মধ্যে একজন ছিলেন সাইরাস মিস্ত্রি। নজর রাখা যাক টাটা সন্স-এর সবচেয়ে বেশি শেয়ার হোল্ডার নেওয়া শিল্পপতির জীবনের দিকে।

সাইরাস মিস্ত্রির মা আয়ারল্যান্ডের অধিবাসী। তার বাবা পালোনজি মিস্ত্রি ভারতের সফলতম ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন। সাইরাস মিস্ত্রি পড়াশোনা করেছেন লন্ডন বিজনেস স্কুলে।

১৯৯১ সালে নিজেদের পারিবারিক ব্যবসা পালোনজি গ্রুপে যোগ দেন সাইরাস মিস্ত্রি। গ্রুপে যোগ দেওয়ার পর নিজেদের ব্যবসা বাড়িয়েছিলেন তিনি। পরে তিনি যোগ দেন টাটা গ্রুপে।

২০০৬ সাল থেকে টাটা গ্রুপের সঙ্গে নাম যোগ হয় সাইরাস মিস্ত্রির। ২০০৬ সালে টাটা সন্স বোর্ড থেকে অবসর নেন তার বাবা পালোনজি মিস্ত্রি। তার জায়গায় ওই বোর্ডে যোগ দেন সাইরাস।

এর ছয় বছর পর ২০১২ সালে রতন টাটা ‘টাটা গ্রুপে’র চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে গেলে, সেই পদে বসেন সাইরাস মিস্ত্রি। ২০১৬ সাল পর্যন্ত টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান পদেই বহাল ছিলেন তিনি।

পরে ওই বছরই তাকে সরিয়ে টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান পদে বসানো হয় এন চন্দ্রশেখরনকে। বর্তমানে পালোনজি গ্রুপের মাধ্যমে টাটা সন্সে সাইরাস মিস্ত্রির ১৮.৪ শতাংশ স্টেক রয়েছে।

সাইরাস মিস্ত্রির স্ত্রী রোহিকা চাগলা। তার দুই ছেলে রয়েছে। একজন হলেন ফিরোজ মিস্ত্রি ও অপরজন জাহান মিস্ত্রি। অনেকেই অবাক হতে পারেন যে, সাইরাস প্রকৃতপক্ষে একজন আইরিশ নাগরিক। কারণ, তার বাবা পালোনজি আইরিশ নাগরিকত্ব নিয়েছিলেন। তবে ভারতের স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে সাইরাসের বিশেষ অনুমতি রয়েছে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ