ছাত্র রাজনীতির অধঃগতির দায় কার?

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

১৩ সেপ্টেম্বর উত্তর আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টে এসেছিলাম। সেখানে কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার কন্যার পড়াশোনা ও গবেষণা শেষ হয়েছে। এখন ওকে ও ওর মাকে নিয়ে ইংল্যান্ডের কয়েকটি জায়গায় বেড়াতে যাত্রা শুরু করেছি।

তবে মনটা ভারি হয়ে আছে শিক্ষা দিবসে দেশের ও আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান চালচিত্র দেখে। যে অন্ধকার গ্রাস করেছে; এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য বিশ্ববিদ্যালয় অঞ্চলের মানুষ হিসেবে আমরা যতটা বুঝতে পারি, সাধারণ মানুষের তেমনভাবে বোঝার কথা নয়। এ লেখাটির পটভূমি এখান থেকেই।

আমি দেশের বাইরে এলেই, বিশেষ করে, উন্নত দেশে এলে সেখানে ছাত্র রাজনীতির চালচিত্র খোঁজার চেষ্টা করি। সর্বত্রই দেখি এ শব্দযুগল ওদের অচেনা। কুইন্স বিশ্ববিদ্যলয়েও আমাদের ডাকসু-জাকসুর মতো স্টুডেন্ট ইউনিয়ন রয়েছে। ওরা বেশ সক্রিয়। ওদের যাবতীয় কর্মভূমিকা শিক্ষার্থীর কল্যাণে।

শিক্ষার পরিবেশ রক্ষায় এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনায় ওরা দৃশ্যমান ভূমিকা রাখে। জাতীয় রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ওদের নেই। রাজনীতিকরাও তেমনটি ভাবেন না। তবে ওরা রাজনীতি সচেতন নয়- এমন কথা কেউ বলবে না।

একজন শিক্ষক জানালেন, এই যে বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় এতটা উপরে; এর পেছনে শিক্ষার্থীদের অবদান কম নয়। আমাদের মতো ক্ষমতালোভী শিক্ষক রাজনীতি ওদেশে নেই। এ কারণে শিক্ষার গুণগত মান নিুমুখী হয় না।

এখানে শিক্ষক জানেন না, তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন না করে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়ানো যায়। শিক্ষার্থী জানে না, নিজেকে শিক্ষায়-গবেষণায় দুর্বল রেখে সব বৈতরণী পাড়ি দেয়া যায়। রাষ্ট্রের যাবতীয় দৃষ্টি থাকে শিক্ষার উন্নয়নে। আমাদের দেশের মতো শুধু বক্তৃতায় নয়।

আমাদের সুবিধাবাদী রাজনীতিকরা ছাত্র রাজনীতির বর্তমান ধারা রক্ষার জন্য বক্তৃতার শব্দে সাধারণ মানুষের মাথায় টুপি পরান। বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি না করলে ভবিষ্যৎ রাজনীতির হাল ধরবে কেমন করে? এর চেয়ে ছেদো কথা আর কিছু নেই। যুগ যুগ ধরে জাতির সংকটে ছাত্ররা আন্দোলনের সম্মুখভাগে চলে এসেছিল।

এর জন্য সক্রিয় রাজনীতির প্রশিক্ষণের প্রয়োজন পড়েনি। মনে রাখতে হবে, আওয়ামী লীগের জন্মের আগে ছাত্রলীগের জন্ম হয়েছিল। জাতির সংকটে ছাত্রলীগ চলে এসেছিল নেতৃত্বে। ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন জাতীয় নেতারা। শেষ পর্যন্ত আপসরফা করতে গিয়ে আন্দোলন চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি।

তাই ১৯৫২ সালে ছাত্ররা নেমে আসেন আন্দোলনে। সতর্ক ছিলেন যাতে জাতীয় নেতারা প্রভাবিত করতে না পারেন। শেষ পর্যন্ত ছাত্র আন্দোলন সফল হয়েছিল। ১৯৭০-এর নির্বাচন আর মুক্তিযুদ্ধে দলীয় ছাত্র রাজনীতির কি শুধু ভূমিকা ছিল?

নিকট অতীতে গণজাগরণ মঞ্চ, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের মতো বিশাল আন্দোলনে সাধারণ ছাত্রদের উজ্জ্বল অংশগ্রহণ ছিল। ক্রান্তিকালে কোনো দলীয় ছাত্র রাজনীতির প্রয়োজন পড়েনি; বরঞ্চ যখন বুদ্ধিমান দলীয় রাজনীতির নেতারা দেখলেন, সুবিধার বল হাত ফসকে যাচ্ছে তখন তালবে এলেম ছাত্র রাজনীতির নষ্টদের দিয়ে এসব উজ্জ্বল আন্দোলনের তেজকে দুর্বল করে দেয়ার জন্য লাঠিয়ালদের মাঠে নামিয়েছিলেন।

আবার একটু আয়ারল্যান্ডের দিকে তাকাই। ১৯১৪ থেকে আয়ারল্যান্ডে আন্দোলন চলছিল। দীর্ঘকাল স্থায়ী এ আন্দোলনে অনেকের মতো ছাত্ররাও যুক্ত হয়েছিল। বিখ্যাত আইরিশ আন্দোলন সফল হওয়ার পর ছাত্ররা ফিরে এসেছিল ক্যাম্পাসে।

জাতীয় রাজনীতির সঙ্গে আর সংশ্লিষ্টতা রাখেনি। সুতরাং রাজনীতির ট্রেনিং নেয়ার প্রয়োজন নেই। নিজ মেধা আর শক্তি দিয়েই সংকটে ছাত্ররা হাল ধরতে পারে। কোনো দলের তাঁবেদার হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।

এখন তো আমার আতঙ্ক হয় দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্মাণে এসব সাধারণ ছাত্র- অপছন্দ চাঁদাবাজদের দিয়ে রাজনীতিক তৈরি করার কথা ভাবা হলে তমসারেখা তো আরও গভীর হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক অধিকতর উন্নয়নের সূত্রে যে বাদ-প্রতিবাদ তৈরি হয়েছে; এর পেছনে লোভী ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতির কি ভূমিকা নেই? অনেক আগে যখন মাত্র খবর এসেছিল, বিশাল অর্থ বরাদ্দ পেতে যাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় তখন থেকেই শিক্ষক রাজনীতির সেসব পক্ষ, যাদের চোখ থাকে প্রশাসনের পদাধিকারী হওয়া, তাদের মধ্যে কি চাঞ্চল্য দেখা যায়নি?

ক্ষমতাসীনদের ছাত্রনেতারা কি সক্রিয় হয়ে ওঠেনি? তাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মধ্যে কি উত্তাপ ছড়ায়নি? শুধু কি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম? যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বরাদ্দ পেয়েছে, সর্বত্রই তো একই দশার খবর পাওয়া যায়।

স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতাদের মধ্যে চাঞ্চল্য একইভাবে তৈরি হয়েছে। এ চঞ্চলতা কি আরও উপর পর্যন্ত ছড়ায়নি? এসব ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বা উপাচার্য নিমিত্ত মাত্র। সব জেনে-বুঝেও রাজনীতির সুবিধাবাদীরা উপাচার্যদের দায়ী করতে থাকেন।

এ জন্য নানা উপলক্ষ খুঁজে নিতে থাকেন। সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করেন। ঘোরপ্যাঁচ না বুঝে শিক্ষার্থীরাও অনেক সময় ভুল পথে হাঁটে। সুবিধাবাদীদের হাত শক্ত করে। আবার কোনো কোনো পক্ষের তো আন্দোলনের ইস্যু পেলেই আনন্দ! রাজনীতিতে হোঁচট খেতে খেতে অস্তিত্ব জানান দেয়ার এই তো মোক্ষম সময়!

ইউরোপে বসেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাদের বয়ান শুনছিলাম। পত্রিকায় পড়ছিলাম। খুশি হলাম সত্য কথা বলায়। জানালেন ১৪০০ কোটি টাকার ভাগ পাওয়া তাদের অধিকার। এমনটি নাকি তারা পেয়েই থাকেন। ঈদ বকশিশ নাকি তাদের প্রাপ্য।

আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না। ঈদের আগে ঝাড়ুদার-সুইপাররা আসে ঈদ-বকশিশ নিতে। অনেক আগে এক সুইপার আসত। বছর কয়েক আগে মারা গেছে। অনেকটা দাবি করে বলত, এ বকশিশ তাদের অধিকার। কিন্তু আমাদের সন্তান ও ভাইতুল্য ছাত্রদের কেউ কেউ নাকি রাজনীতি করার সুবাদে চাঁদাবাজিকে অধিকারের পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।

এটি খুবই লজ্জার। কিন্তু এ জন্য ছাত্রদের কতটুকু দায়ী করা যায়? আমরা তো দেখেছি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আর সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত করার পর আওয়ামী লীগ নেতা-নেত্রীরা এদের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। এরা নাকি রাজনৈতিক পরিবারের ছেলে। ভবিষ্যৎ রাজনীতি তাদের দিকে চেয়ে আছে।

এরপর একে একে এদের শক্তির পরিচয় পেতে থাকি সবাই। একবার কাগজে দেখলাম, কোনো এক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসে বসে আছেন; কিন্তু এসব ক্ষমতাবান ছাত্রনেতা না আসায় অনুষ্ঠান শুরু করতে পারছিল না কর্তৃপক্ষ। এতে আমরা বুঝতে পারছিলাম না, কার ক্ষমতা কতটা বেশি!

আমরা তো মনে করি, আমাদের দেশের জন্য এসব নতুন কিছু নয়। বিএনপির আমলে ছাত্রদল আর আওয়ামী লীগ আমলে ছাত্রলীগ একইভাবে ক্ষমতাশালী ও অর্থশালী হয়ে পড়ত। এদের এমন ক্ষমতার পেছনে কি জাতীয় নেতাদের ভূমিকা নেই?

এদের কি শাসন করেছেন জাতীয় নেতারা? চাঁদাবাজ হওয়া থেকে বিরত রাখতে পেরেছেন? যে কারণেই হোক, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শাসন করেছেন। এ ‘ক্ষমতাবান’দের অপসারণ করেছেন। এ জন্য আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

দলসংশ্লিষ্ট ছাত্র রাজনীতির বদলে যদি ডাকসু-জাকসুর মতো ছাত্র সংগঠনের হাতে ক্যাম্পাসের তথাকথিত ছাত্র রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত থাকত তবে আসুরিক দাপট দেখাতে পারত না কোনো পক্ষ; ছাত্র কল্যাণে ভূমিকা রাখতে পারত। অবৈধ অর্থ অর্জনে লজ্জা বোধ করত।

ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখতে পারত। এভাবে বেড়ে ওঠা ছাত্রনেতারা ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে যদি যুক্ত থাকতে পারত, তবে তাদের ওপর ভরসা রাখতে পারত জাতি। কিন্তু আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ ছাত্রদের একটি অংশ অসৎ সঙ্গে পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত।

গত সন্ধ্যায় লন্ডনে একজন স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীর মনস্তাপ শুনলাম। সত্য-মিথ্যা জানি না। বললেন, ঢাকা থেকে বড় নেতারা এলে এখন নাকি রীতিমতো আতঙ্ক বোধ করেন। নেতারা মার্কেটে যান সঙ্গে একদল স্থানীয় নেতাকর্মী নিয়ে। নেতাদের যা কিছু পছন্দ টপাটপ কিনে দেন তারা।

এটি নাকি অলিখিত রেওয়াজ। এসব যদি সত্য হয় তাহলে তো উচ্চস্তর থেকে অবক্ষয় গ্রাস করছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে নীতিহীন ছাত্র রাজনীতির দায় আমরা পুরোটা ছাত্রদের ঘাড়ে চাপাতে পারি না। একটি অন্ধকার ওদের নষ্ট করছে প্রতিদিন।

আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে যখন চলমান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আন্দোলন হয় তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরের সুবিধা অন্বেষীরা তারুণ্যের শক্তিকে নানাভাবে ব্যবহার করেন।

এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে পদত্যাগ করানোর ভূমিকায় যারা থাকেন, তাদের সবিনয়ে বলতে ইচ্ছে করে- নষ্টামির মূলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করে নিমিত্ত মাত্র যারা; তাদের ওপর খড়্গ তোলেন কেন? অতীতে এ ধারা অনেক দেখেছি, তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি।

অবাক হই এর আগে যারা দুর্নীতির দায়ে একইভাবে আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন, তারাই আবার দুর্নীতির দায় চাপিয়ে আরেক পক্ষকে পদত্যাগ করতে বলেন। দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াও কি এই ক্যাম্পাসে শুধু গোষ্ঠীস্বার্থের প্রয়োজনে ভিসি পদত্যাগের আন্দোলন হয়নি?

আমার মতো সামান্য মানুষের ইচ্ছা-অনিচ্ছায় কী আসে-যায়! তবুও বলব, বর্তমান ধারার জাতীয় রাজনীতির নেতা-নেত্রীদের বড় অংশ এবং শিক্ষক রাজনীতির উল্লেখযোগ্য অংশের বিবেক ও সততার প্রতি আমার আস্থা নেই।

সবকিছুর ভেতরেই নিজেদের লাভালাভের গোপন উদ্দেশ্য কাজ করে। দুঃখ হয় সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাংস্কৃতিক কর্মী-শিক্ষার্থীর জন্য। যখন ওরা দাবার ঘুঁটির মতো ব্যবহৃত হয় এসব বিশেষ উদ্দেশ্যবাজদের।

আবার একইভাবে হাস্যকর লাগে যখন বিএনপি নেতারা আওয়ামী লীগের দুর্নীতি নিয়ে গলা উঁচিয়ে কথা বলেন। মনে হয়, তারা স্মৃতিভ্রষ্ট রোগে ভুগছেন অথবা সাধারণ মানুষকে বোকা ভাবছেন। বুঝতে চান না, বিএনপি আমলের পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতির কথা এ দেশের মানুষ ভুলে যায়নি।

কিন্তু তাই বলে বর্তমানের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দুর্নীতির কথাও নিশ্চয়ই বিস্মৃত হওয়ার নয়। সেই ১৯৪৬ সাল থেকে জাতির অধিকার আদায়ের জন্য ছাত্রশক্তি আন্দোলন করে একটি মহান ঐতিহ্য গড়ে তুলেছে।

প্রতিবাদী ছাত্ররা দুর্নীতির উৎস যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে; সেখানে সুবিধাবাদীদের হাত শক্ত করার জন্য নিজেদের চার দেওয়ালে আটকে রাখছে কেন!

এই প্রশ্নটি আমার ভেতরে সবসময় কাজ করে- এমন দুঃসময়ে তারুণ্যের শক্তির বিস্ফোরণ যদি জাতীয় সংকট সৃষ্টির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পারত তবে সর্বত্রই একটি সুবাতাস বইয়ে দেয়ার সুযোগ বাড়ত।

অসুস্থতার মূলে না গিয়ে ঘায়ের ওপর মলম দিয়ে আপাতত মুক্তি মানলে ক্যানসারের আশঙ্কা তৈরি হয়। এ কারণেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বারবার ভিসি পদত্যাগের আন্দোলন করতে হয়।

আবার আন্দোলন সফল হলে সরলমতি বিপ্লবী ছাত্রছাত্রীকে পরবর্তী আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে হয়। অন্যদিকে মোক্ষে পৌঁছার জন্য ভেতরে ভেতরে কলকাঠি যারা নাড়ান, তারা প্রকৃত সাফল্যের হাসি হাসেন। প্রস্তুতি নেন সিংহাসনে বসার। আর কম শক্তিমানরা মৌ-লোভী মাছির মতো চারপাশে ভনভন করেন।

এ ধারায় সরলমতি সুন্দরের প্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা আরেকটি অন্ধকার দেখার জন্য অপেক্ষা করে। আমরা নতুনভাবে প্রত্যাশা করতে চাই- শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালোবাসেন এমন সবাই যাতে সবকিছুই বিবেক আর যুক্তি দিয়ে বিবেচনা করেন। কোনো পক্ষের হাতের ঘুঁটি হয়ে যেন পরে মনস্তাপ করতে না হয়।

এ কে এম শাহনাওয়াজ : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

shahnawaz7b@gmail.com