সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
ময়মনসিংহের ত্রিশালে ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে বিদ্যালয়ের দপ্তরী আবু সাঈদ (৩০) কে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর মা লাভলী আক্তার বাদী দপ্তরী আবু সাঈদকে আসামী করে ত্রিশাল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
শিক্ষার্থী ত্রিশাল উপজেলার আমিরাবাড়ী ইউনিয়নের গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। আটক আবু সাঈদ একই বিদ্যালয়ে দপ্তরীর চাকরী করতেন। ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার (৭ এপ্রিল) সকালে ত্রিশাল উপজেলার আমিরাবাড়ী ইউনিয়নের গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী শারমিন আক্তার(১২) জানান, শনিবার সকাল ৮টার দিকে আমি দুই বান্ধবিকে নিয়ে বিদ্যালয়ের সততা ষ্টোরে যায় কলম কিনতে যাই। এ সময় বিনা (ছদ্বনাম) তার বান্ধবীকে নিয়ে ক্লাসেই বসে ছিল। তখন দপ্তরী আবু সাঈদ ওই শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করলে সে ভয়ে চিৎকার দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ওই শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে তার মা-বাবাকে বিষয়টি জানায়।
একমাত্র ছোট বোনের সাথে নোংড়া ঘটনার খবর জানতে পেরে রোববার সকালে বিদ্যালয়ে যান বড় ভাই আল আমিন। দপ্তরিকে মারধরের চেষ্টা করলে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিয়া হেদায়েত হোসেন খাঁজা পরিস্থিতি সামলে সাঈদকে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আটক করে রাখেন। পরে পুলিশকে খবর দিলে আবু সাঈদকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
লাভলী আক্তার বলেন, গত শনিবার(৭এপ্রিল) দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে মেয়েটি কেঁদে কেঁদে ঘটনার বর্ণনা দেয়। আমি এই ন্যক্কারজনক ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই, যাতে এই ধরনের কোন ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিয়া হেদায়েত হোসেন খাঁজা বলেন, ওই শিক্ষার্থীর ভাই সহ কয়েকজন মিলে যখন দপ্তরিকে মারতে আসে তখনই আমি বিষয়টি জানতে পারি। আমিওন চাই এ ধরনের অপরাধীদের কঠিন শাস্তি হউক।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ জানান, আমি শুনেছি, ঘটনার সত্যতা যাচাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আবু সাঈদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ইউএনও আবু জাফর রিপন বলেন, মেয়েটির সাথে কথা বলে বুঝা গেছে তাকে ধর্ষনের চেষ্টা করা হয়েছিল। আবু সাঈদ পুলিশের হেফাজতে আছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পুলিশের উপ-পরিদর্শক দিদারুল আলম জানান, মেয়েটির সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া পর বিদ্যালয়ের দপ্তরী সাঈদকে আটক করা হয়েছে।
বিডি২৪লাইভ
