সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীদের অবরোধের মধ্যে শাটল ট্রেনে হামলায় দুই রেলকর্মী আহত হয়েছেন।
বুধবার সকালে ওই হামলার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন চালাচল বন্ধ রেখেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম ষোলশহর স্টেশনের মাস্টার মো. শাহাবউদ্দিন জানান, অবরোধকারীদের ছোড়া পাথরে রেল পুলিশের এসআই মো. জাকির ও লোকো মাস্টার মো. ওবায়দুজ্জামান আহত হন।
“ক্যাম্পাসগামী প্রথম শাটল ট্রেনটি সকাল পৌনে ৮টায় ঝাউতলা স্টেশনে পৌঁছালে অবরোধকারীরা সেখানে এক ঘণ্টার বেশি সময় আটকে রাখে। পরে ট্রেন ছেড়ে গেলেও মুরাদপুরে তারা পাথর ছোড়ে। তখন শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।”
গত রোববার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ২০১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। পরদিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা দিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে ‘পদবঞ্চিত ও পছন্দনীয় পদ না পাওয়া’ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।
দুই দিন ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করার পর বুধবার থেকে ক্যম্পাসে অবরোধের ডাক দেয় পদবঞ্চিতরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যাম্পাসগামী প্রথম শাটল ট্রেন সকাল পৌনে ৮টায় দিকে ঝাউতলা স্টেশনে পৌঁছানোর পর অবরোধকারীদের বাধায় পড়ে। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা আটকে থাকার পর ট্রেন ছাড়লেও ৯টার দিকে মুরাদপুর ফরেস্টগেইট পার হওয়ায় সময় হামলা হয়।
অবরোধকারীদের ছোড়া পাথরে ট্রেনের ইঞ্জিনের কাচ ভেঙে যায়। এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং ট্রেনটি পরে ষোলশহর স্টেশনে ফিরে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
স্টেশন ম্যানেজার শাহাবউদ্দিন বলেন, “ট্রেন চালাচলে বারবার বাধা দেওয়ায় এবং ঝাউতলা স্টেশনে ট্রেন বিলম্ব করায় শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। শিডিউল বিপর্যয় ও নিরাপত্তার কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।”
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে তারপর আবার ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে জানান তিনি।
সূত্র: বিডিনিউজ