ছাত্রলীগের সম্মেলন নিয়ে ধোঁয়াশা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের তারিখ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। আগামী ৩১ মার্চ সম্মেলনের তারিখ অনানুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হলেও সেদিন এ সম্মেলন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে যান।

অন্যদিকে গতকালই সকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মধুর ক্যান্টিনে গিয়ে সম্মেলনের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেন।

ফলে বিষয়টি নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ধোয়াঁশা তৈরি হয়েছে।

নির্ধারিত সময়ে সম্মেলন না হওয়ার বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বলেন, ২৯তম সম্মেলন আগামী মার্চের ৩১ তারিখে হবে না। কখন হবে, সেটি পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।

একই কথা জানালেন সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। তিনি বলেন, ৩১ মার্চের সম্মেলন আপাতত হচ্ছে না। সম্মেলন সময় মতো হবে। তা পরে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

অন্যদিকে ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদক গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) ওবায়দুল কাদের মধুর ক্যান্টিনে এসে সম্মেলনের ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন। ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যেটা বলেছেন, এটা ভুয়া। তারা পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীদের মাঝে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করার জন্য এসব কথা বলেছেন। এর ফলে নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস থাকবে না। তাঁরা সম্মেলন না হওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানালে ভালো হয়।’

এর আগে জানুয়ারি মাসের ৪ তারিখে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে অনেকটা আকস্মিকভাবেই সংগঠনটির জাতীয় সম্মেলনের ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এরপর আগামী ৩১ মার্চ ২৯তম জাতীয় সম্মেলন হওয়ার বিষয়টি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকটি সূত্র অনানুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করে। তা ছাড়া আজ সকালে মধুর ক্যান্টিনে এসেও তিনি সম্মেলনের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেন।

২০১৫ সালের ২৬ জুলাই ২৮তম সম্মেলনের মাধ্যমে সাইফুর রহমান সোহাগকে সভাপতি ও এস এম জাকির হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের মেয়াদ দুই বছর। সে হিসেবে গত জুলাইয়ে ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি মেয়াদ শেষ হয়। যদিও গত কয়েকটি কমিটি মেয়াদের অতিরিক্ত দুই বছর করে থাকার একটি সংস্কৃতি অনুসরণ করছে। তবে এ কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরপরই ছাত্রলীগের একটি অংশ সম্মেলনের দাবি তোলে। এমনকি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সময়মতো সম্মেলনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনও ডাকেন তাঁরা। যদিও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে সম্মেলনের আশ্বাস আসলে সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করেন তাঁরা।