রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের একটি অংশে মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণ কাজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কয়েকজন বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তারা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।
গ্রন্থাগারের দুজন কর্মকর্তা-কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিকেলের দিকে প্রায় ২০-৩০ জন যুবক গ্রন্থাগারের তিনতলায় চলা মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণ কাজের স্থলে উপস্থিত হয়ে কাজ বন্ধ করার কথা বলেন।
এ সময় তারা মিস্ত্রিদের বলেন, ‘আপনারা কাজ বন্ধ করে নিচে যান। যিনি আপনাদের কাজে পাঠিয়েছেন তার সাথে যোগাযোগ করেন।’ তাদের হুমকি পেয়ে নির্মাণ কাজের মিস্ত্রিরা সবাই চলে যান।
হুমকিদাতা সবাইকেই দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মনে হয়েছে বলে জানান ওই দুজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী। তবে তারা কোন রাজনৈতিক দলের কেউ কি না সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেন নি তাঁরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাবি গ্রন্থাগারে মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণের জন্য গতবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনান্সিয়াল সিন্ডিকেট সভায় একটি কমিটি করা হয়েছিলো। তাদের সরাসরি তত্ত্বাবধানেই কাজ চলছিলো। কিন্তু কয়েকমাস আগে চাঁদা দাবিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের হস্তক্ষেপে পুণরায় কাজ চালু হয়েছিলো।
কেন্দ্রীয় গন্থাগারের প্রশাসক অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদী বলেন, ‘আমি বিকেলে শুনলাম কয়েকজন গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। এর আগে একবার ভুল তথ্যের ভিত্তিতে ছাত্রলীগের ছেলেরা গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়ে বলেছিলো, “তোর শ্বশুড় কাজ করছে। ১০% বখরা (চাঁদা) দিবি।” পরে বিষয়টা উপ-উপাচার্যকে জানিয়েছিলাম। পরে পুণরায় কাজ শুরু হয়। এবার যেহেতু আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না তাই বলতে পারছিনা কাজ বন্ধ করতে কারা গিয়েছিলো। তবে আমাদের কর্মচারীরা কেউ কেউ বলেছে এদেরকে দেখেছে ছাত্রলীগের টেন্টে।’
বর্তমান প্রশাসনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসে প্রশাসনের প্রধান দুজন এখন নেই। বিচারের দায়-দায়িত্ব সাধারণ মানুষের। সেখানে তো মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছিলো।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ছাত্রলীগের কেউ এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকলে অবশ্যই জানতে পারতাম। তারপরও আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি।’
স/আ