ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে এক নেতাকে কুপিয়ে জখম, আটক ১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের দ্বন্দ্ব জেরে এক ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে অপর গ্রুপের কর্মীরা। এ ঘটনায় অপর পক্ষের একজন আহত হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরের শাহমুখদুম থানার নওদাপাড়া রায়পাড়া এলাকার ক্ষনিকের নীড় ছাত্রাবাসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এঘটনায় মোমিন(২০) নামের একজন কে আটক করা হয়েছে। সে রায়পাড়া এলাকার হাসানুজ্জামানের ছেলে।

আহতরা হলেন, মাসুদ পক্ষের শাহ্‌ মখদুম থানা ছাত্রলীগ এর বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, রবিউল ইসলাম রবিন ও জহুরুল ইসলাম পক্ষের রায়পাড়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে নাজমুল ইসলাম।

এদের মধ্যে নাজমুল চিকিৎসা নিয়ে আজ শনিবার সকালে হাসপাতাল ত্যাগ করেন এবং রবিন বর্তমানে রামেক হাসপাতালে ৩১ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছে। তার ডান হাত ও দু’পা গুরুতর ভাবে জখম।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শাহমুখদুম থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জহুরুল ইসলাম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ গ্রুপের দ্বন্দ চলে আসছিল। এ দ্বন্দ্বের জের ধরে শুক্রবার রাতে রবিন কে দেখতে পেয়ে অপর পক্ষের নেতা কর্মীরা চাইনিজ কুড়াল, হাসুয়া, রড, জি আই পাইপ দিয়ে হামলা করে বলে জানা গেছে। এ সময় হামলাকারি পক্ষের এক ছাত্রলীগ কর্মীও আহত হন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, জহুরুর পক্ষের লোকজন রবিন কে দেখতে পেলে সে ভয়ে আড়াল হয়ে এক ঘরে লুকিয়ে যায়। পরে নাজমুল তাকে ঘর থেকে ধরতে গেলে সে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। পরে জহুরুল সমর্থক ও রবিনের মধ্যে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাবাসাদের জন্য মোমিন নামের এক যুবককে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়া হয় বলেও জানান ওসি।

প্রসঙ্গত, শাহমুখদুম থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জহুরুল ইসলাম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ গ্রুপের দ্বন্দ চলে আসছিল। এনিয়ে গত ২৭ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর আমচত্বর এলাকার বরেন্দ্র সরকারী কলেজে নবীনবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সে অনুষ্ঠানের পর বিকেলে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সম্পাদক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে।

ওই সংর্ঘের পর ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে দল থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এর পর থেকে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।

স/অ