চ্যারিটেবল মামলায় রায়ের তারিখ ধার্যের আদেশ আজ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:  বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় যুক্তিতর্ক সমাপ্ত করে রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য হবে কি না, সে বিষয়ে আজ আদেশ দেবেন আদালত।

একই সঙ্গে এ মামলায় বিচারকের বিরুদ্ধে দুই আসামির অনাস্থার বিষয় ও মনিরুল ইসলাম খানের জামিন বলবৎ থাকবে কি না সে বিষয়েও আদেশের দিন ধার্য রয়েছে।

রোববার রাজধানীর পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত নবগঠিত অস্থায়ী আদালতে ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দিবেন।

মামলাটিতে আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে কালক্ষেপণ করছে জানিয়ে গত ২৬ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন সমাপ্ত করে রায়ের তারিখ ধার্যের আবেদন করেন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। ওই দিন মনিরুল ইসলামের আইনজীবী আক্তারুজ্জামান মনিরুলের জামিন বলবৎ রাখার আবেদন করেন।

এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ চলার আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যেতে চেয়ে করা সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করায় বিচারকের প্রতি আসামি ড. জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান অনাস্থা দেন। ওই দিন আদালত অনাস্থার বিষয়ে আদেশের জন্য পরদিন ২৫ সেপ্টেম্বর, তা পিছিয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর ঠিক করেন আদালত।

এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর একই বিচারক বিচার বিলম্বের জন্য খালেদা জিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতে আসছেন না, উল্লেখ করে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪০ (এ) ধারায় তার উপস্থিতি মওকুফ করেন। তবে আইনজীবীরা চাইলে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই যুক্তি উপস্থাপন করতে পারবে বলে আদালতের আদেশ রয়েছে।

উল্লেখ্য, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় গত ১ ফেব্রুয়ারি আসামি জিয়াউল হক মুন্নার পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি অব্যাহত রয়েছে এবং খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন বাকি আছে।

২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।

মামলাটিতে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী এবং তার তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রাক্তন মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান আসামি।

মামলাটিতে খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করেন।