বৃহস্পতিবার , ২১ জুলাই ২০১৬ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

চৌদ্দগ্রামে সিএনজি ষ্টেশন থেকে গ্যাস পাচার হচ্ছে ভারতীয় সীমান্তে

Paris
জুলাই ২১, ২০১৬ ২:১৯ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের সিএনজি ফিলিং ষ্টেশনগুলো থেকে দীর্ঘদিন ধরে মিটারের বাইরে চোরাই সংযোগ দিয়ে অবৈধভাবে গ্যাস পাচার হচ্ছে ভারত সীমান্তের বিভিন্ন উপজেলায়। ফলে সরকার বিপুল পরিমাণের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছে, বাখরাবাদ গ্যাস কোং লিমিটেডের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা- কর্মচারীরা ওইসব ষ্টেশনগুলো থেকে মাসে কমিশন হিসেবে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। আর অবৈধভাবে একই সাথে থাকা অর্ধশতাধিক সিলিন্ডারে গ্যাস ভর্তির কারণে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, দেশের লাইফ লাইন হিসেবে খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় সড়কের দুই পাশে নয়টি সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন রয়েছে। এরমধ্যে আমজাদের বাজারে অবস্থিত ‘চিওড়া সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন লিঃ’ থেকে প্রতিদিনই চোরাই সংযোগ দিয়ে কাভার্ডভ্যান ও ট্রাকে থাকা অর্ধশতাধিক ছোট বড় সিলিন্ডার ভর্তি করে গ্যাস পাচার হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ ভারত সীমান্তবর্তী বিভিন্ন উপজেলায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি কাভার্ডভ্যান ও ট্রাকের মাঝে বিভিন্ন আকারের ছোট বড় অর্ধশতাধিক সিলিন্ডার বোঝাই থাকে। সিলিন্ডারভর্তি ট্রাকগুলোর পিছনের অংশ ত্রিপল দিয়ে মোড়ানো রয়েছে। সবগুলো সিলিন্ডার আবার একটি লাইনে সংযুক্ত থাকে। ওই লাইনের মাধ্যমে সিলিন্ডারগুলোতে সিএনজি ফিলিং ষ্টেশনের অবৈধ লাইন দিয়ে গ্যাস ভর্তি করা হয়।

বিষয়টি যাতে অন্যান্য চালকরা ও সাধারণ মানুষ বুঝতে না পারে সেজন্য নজেলের পাশে একটি ঢাকনা দেয়া থাকে।

অবৈধভাবে গ্যাসভর্তি কাভার্ডভ্যানগুলো রাঙ্গামাটি, ফকিটছড়ি ও বান্দরবনসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের ভারতীয় সীমান্তবর্তী বিভিন্ন উপজেলার সিএনজি ফিলিং ষ্টেশনগুলোতে নেয়া হয় বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ‘২০১৩ সালে মিটার ট্যাম্পারিংয়ের কারণে বাখরাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আমজাদের বাজারস্থ ‘চিওড়া ফিলিং ষ্টেশন লিমিটেড’ ও কালিবাজারস্থ ‘খালেক সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন’ নামের দুটি সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন বন্ধ করে দেয়। পরে উভয়টির মালিক ষ্টেশন বন্ধের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন(১৬৯৪৪/২০১২) দাখিল করলে ছয় মাসের জন্য বন্ধ কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।

আদেশের সময় পেরিয়ে গেলেও ষ্টেশন দুটির কার্যক্রম চলছে পুরোদমে। এ সুযোগে অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে গ্যাস পাচার করছে চিওড়া সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে সিএনজি অটোরিকশার কয়েকজন চালক জানান, ‘ঝুঁকিপূর্ণভাবে গ্যাস ভর্তি করার কারণে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে’।

এ ব্যাপারে বাখরাবাদ গ্যাস কোং লিমিটেডের জিএম (অপারেশন) আবুল হাসনাত বলেন, ‘অবৈধ সংযোগের বিষয়ে জানি না। তবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিব। এবিষয়ে তিনি আরও তথ্যের জন্য জিএম(মার্কেটিং) এহসানুল হক পাটোয়ারীর সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু এহসানুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে চিওড়া সিএনজি ফিলিং ষ্টেশনের মালিক আবদুল খালেক জানান, ‘যারা কাভার্ডভ্যান ও ট্রাকভর্তি করে গ্যাস নেয় তাদের সরকারি লাইসেন্স আছে। তবে অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে গ্যাস দেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি উল্টো জিজ্ঞেস করেন,
‘লেখালেখির মাধ্যমে তার ক্ষতি করে লাভ কি?’

সূত্র:আমাদেরসময়

সর্বশেষ - জাতীয়