চোর সন্দেহে পুলিশ সদস্যকে গণধোলাই

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

পাওনা টাকা আদায় করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন এক পুলিশ সদস্য। চোর সন্দেহে এলাকাবাসী তাঁকে গণধোলাই দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ি ইউনিয়নের হাজীগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গণধোলাইয়ের শিকার ওই পুলিশ সদস্যের নাম সাইফুল ইসলাম (৪৫)। তিনি পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কনস্টেবল। গণধোলাইয়ের ঘটনায় গতকাল রাতেই আদিতমারী থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা করেন সাইফুল।

পুলিশ হেলাল উদ্দিন (২৩) নামের একজনকে আটক করেছে। আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে লালমনিরহাট কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, আদিতমারীর ভাদাই ইউনিয়নের বড়াবাড়ি গ্রামের সাইফুল ইসলাম পুলিশের স্পেশাল শাখার কনস্টেবল পদে কর্মরত। তিনি স্থানীয় হেলাল উদ্দিনকে ব্যবসার উদ্দেশ্যে চার লাখ ৪০ হাজার টাকা ধার দেন। সেই টাকা ফেরত দিতে গড়িমসি করতে থাকেন হেলাল। গতকাল সন্ধ্যায় সাইফুল ওই টাকা আদায় করতে হাজীগঞ্জ এলাকায় যান। সেখানে মামার বাড়িতে ছিলেন হেলাল। হেলালের সঙ্গে সাইফুল দেখা করেন। কিন্তু দেখা হওয়া মাত্রই হেলাল ‘চোর, চোর’ বলে চিৎকার করতে থাকেন।

একপর্যায়ে হেলাল পালিয়ে যান, পরে এলাকাবাসী সাইফুলকে গণধোলাই দেন। সাইফুল নিজেকে পুলিশ দাবি করলেও কেউ তা শোনেনি। খবর পেয়ে আদিতমারী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে এলাকাবাসী পুলিশের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এ সময় এলাকাবাসীর সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আসলে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।

সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘হেলাল উদ্দিন ব্যবসা করার কথা বলে আমার কাছ থেকে ধার হিসেবে চার লাখ ৪০ হাজার টাকা নেন। কিন্তু টাকা বা লাভ কোনো কিছুই দিচ্ছিলেন না তিনি।’

আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেশ্বর রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় গতকাল রাতেই হেলালসহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। হেলালকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

 

 

সূত্র: প্রথম আলো