চেয়ারম্যানকে বিয়ের দাবিতে গৃহবধুর অনশন

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বিয়ের দাবিতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বাড়ির উঠোনে বসে অনশন করেছেন এক গৃহবধু। ওই গৃহবধূ  এক সন্তানের জননী। তার বাড়ি গাইবান্ধা জেলায়।

ওই গৃহবধুর দাবি, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছেন। অথচ কথা দিয়েও বিয়ে করেননি তাকে। আর এ খবরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত চেয়ারম্যান।

ঘটনাটি ঘটেছে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায়। সেখানের আওলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের (৫২) বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনে তার বাড়িতে অনশন করেছেন ফারিয়া আখতার চুমকী (৩৮) নামের এক গৃহবধূ।

সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অনশন করেছেন ফারিয়া। এর আগে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে অনশনে বসেন তিনি।

জানা গেছে, ফারিয়া আখতার চুমকী গাইবান্ধার কামদিয়া এলাকার বাসিন্দা সনি চৌধুরীর স্ত্রী। তাদের এক কন্যা সন্তানও রয়েছে।

অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক পাঁচবিবি উপজেলার আওলাই ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য।

ফারিয়া আখতার চুমকীর অভিযোগ, চলতি বছরের শুরুতে মোবাইলে আওলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। এর পর প্রণয়ের সম্পর্কে জড়ান তারা। এর পর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে চেয়ারম্যান কয়েকবার তার সঙ্গে মিলিত হন।

তাদের এ সম্পর্ক তার স্বামীসহ আত্মীয়দের মধ্যে জানাজানি হলে চেয়ারম্যানের কাছে জলদি বিয়ের বিষয়টি তোলেন তিনি। কিন্তু চেয়ারম্যান রাজ্জাক বিভিন্ন রকম তালবাহানা করে পিছিয়ে যান। অবশেষে কোনো উপায় না পেয়ে সোমবার বিয়ের দাবিতে চেয়ারম্যান রাজ্জাকের বাড়িতে এসেছেন তিনি।

এ বিষয়ে আওলাই ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আমিনুল ইসলাম জানান, অনশনকারী ওই গৃহবধূকে তার পরিবার রাতে এসে নিয়ে গেছে। ঘটনাটি সত্য নয়, এটি সাজানো নাটক।

স্থানীয়দের অনেকের বিশ্বাস, এটা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হতে পারে। ভেতরে যাই ঘটুক না কেন ওই গৃহবধুর বিশেষ স্বার্থ লুকিয়ে আছে এখানে। ঘটনার তদন্ত করলে তা বেরিয়ে পড়বে।

আওলাই ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার সেকেন্দার আলী বলেন, হ্যা, পাশের জেলার এক নারী চেয়ারম্যানকে বিয়ের দাবি নিয়ে এসেছিলেন। বিষয়টির প্রমাণসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জেনেছি।

পাঁচবিবি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনসুর রহমান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে ওই গৃহবধূ থানায় কোনো অভিযোগ নিয়ে আসেননি। তিনি অভিযোগ দিলে তা গ্রহণ করে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে আওলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। সূত্র: যুগান্তর