চেলসি কিনতে হলে আবেদন করতে হবে ব্রিটেন সরকারের কাছে

বিশ্বজুড়ে ক্রীড়াঙ্গনেও পড়েছে ইউক্রেন-রাশিয়ার সংকটের প্রভাব। এবার সেই প্রভাব গিয়ে পড়ল ইংলিশ ফুটবল ক্লাব চেলসির ওপরেও।

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে অসংখ্য রুশ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। এই নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছেন চেলসির মালিক রুশ ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচ। তাই চেলসি বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন তিনি।

কিন্তু এবার তাকে সেই সুযোগ নিতেও নারাজ ব্রিটেন। দেশটির সরকার বলছে, রোমান আব্রামোভিচের সব সম্পদের উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় তিনি এখন চেলসি বিক্রি করতে পারবেন না।

তবে শুক্রবার ব্রিটেন সরকার জানিয়েছে, কেউ যদি চেলসি কিনতে আগ্রহী থাকে তাহলে তারা ব্রিটিশ সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠাতে পারে।

ব্রিটেনের প্রযুক্তি মন্ত্রী ক্রিস ফিলপ বলেন, “লাইসেন্সের শর্তগুলো অনুসারে, আব্রামোভিচ এখন ক্লাব বিক্রি করতে পারবেন না। তবে কোনও ক্রেতা যদি আগ্রহী হন, তাহলে তারা নির্দ্বিধায় ব্রিটিশ সরকার বরাবর আবেদন করতে পারেন। সেই সাথে কিভাবে এই বিক্রয় প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হতে পারে, তার জন্যেও শর্তাবলী আলোচনা করতে পারেন।”

এছাড়া, সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি রোমান আব্রামোভিচের উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে যুক্তরাজ্য।

রাশিয়া-ইউক্রেনের চলমান সংঘাতের মধ্যেই খ্যাতনামা ইংলিশ ক্লাবটি বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আব্রামোভিচ। তিন বিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি মূল্যে চেলসি বিক্রি করার প্রত্যাশা ছিল তার।

এই মুহূর্তে ক্লাবটি ব্রিটিশ সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নানা শর্তাবলী ও নজরদারির মধ্যেই চলছে চেলসির কার্যক্রম। এমনকি খেলোয়াড়দের ট্রান্সফার চুক্তি ও টিকিট বিক্রির সুযোগও বন্ধ চেলসির সামনে, যার ফলে ক্লাব মার্চেন্ডাইজাররা দোকানগুলো বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।

গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে চেলসি জানায়, তারা নিজেদের লাইসেন্সে পরিবর্তন আনতে চায়, যার মাধ্যমে যতটা সম্ভব স্বাভাবিকভাবে ক্লাবের কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হবে।

এ বিষয়ে ফিলপ বলেন, “ক্লাব যদি মনে করে লাইসেন্সে পরিবর্তন আনা দরকার, তাহলে যেকোনও সময় সরকারের সাথে এ বিষয়ে আলোচনায় বসতে পারে। কিন্তু সরকারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, আব্রামোভিচের হাতে যেন এখন কোনও আর্থিক সুবিধা না পৌছায়।”

উল্লেখ্য, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর থেকে এই অভিযান শুরু হয়। এরই মধ্যে শনিবার ১৭তম দিনে গড়িয়েছে এই অভিযান। বিগত ১৬ দিনে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি নগরী দখলে নিয়ে রুশ বাহিনী।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন