চুল হবে এমন, বারবার ছুঁতে চাইবে মন

রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ থেকে শুরু করে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল, নারী চুলের সৌন্দর্যের বন্দনায় মেতেছেন অনেক কবি-সাহিত্যিক। কেউ প্রিয়তমার ঘন অন্ধকার কালো চুলে দিশা হারিয়েছেন, তো কেউ প্রিয়ার চুলের খোঁপায় তারার ফুল দেওয়ার অভিপ্রায় প্রকাশ করেছেন। যুগে যুগে চুলের এমন বন্দনা যেমন হয়েছে, তেমন আদর্শ চুলের অধিকারী হতে হলে কী কী করতে হবে তা নিয়েও হয়েছে বহু চুলচেরা বিশ্লেষণ।

দীঘল কালো কিংবা ঘন চুল পাওয়ার প্রচেষ্টায় এ যাবৎ অনেক সময় ব্যয় করা হলেও, আদর্শ চুলের অন্যতম প্রধান একটি বৈশিষ্ট্য বরাবরই অবহেলিত রয়ে গেছে। আর তা হলো, কোমল চুল। যে চুলে একবার হাত দিলে, ছুঁয়ে দেখতে মন চাইবে বারেবার। চুলে হাত দেওয়ার পর যদি খড়কুটো ধরার অনুভূতি হয়, তবে সে চুল যত লম্বা, ঘন কিংবা কালোই হোক না কেন দ্বিতীয়বার হাত রাখার ইচ্ছেটা নাই হয়ে যেতেই পারে। তবে এ সময়ের ফ্যাশনিস্তারা সব বিষয়েই সমান সচেতন। তাই এখন গুরুত্ব পাচ্ছে কোমল চুলের প্রয়োজনীয়তাও। কেননা, কোমল আর সিল্কি চুলকেই বলা হয়ে থাকে আদর্শ চুল। তাছাড়া উৎসবের দিনগুলোর সাজ-সজ্জায় চুলের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।

চুলকে প্রাকৃতিকভাবেই কোমল করার ক্ষেত্রে একেবারে সেরা উপাদান বলা হয়ে থাকে অ্যালোভেরাকে। বাহারি সব গুণে ভরপুর প্রাকৃতিক এই উপাদানটি। যারা কোমল ঝলমলে চুলের অধিকারী হতে চান, তাদের জন্য আশীর্বাদই বলা যায়। অ্যালোভেরার গুণ সমৃদ্ধ হেয়ার অয়েলের নিয়মিত ব্যবহারে চুল তার আদর্শ ফিরে পেতে পারে। বাজারে এখন এমন তেলও পাওয়া যাচ্ছে। প্যারাস্যুট অ্যাডভান্সড অ্যালোভেরা হেয়ার অয়েলের কথা না বললেই নয়। তেলটিতে নারিকেল তেলের পুষ্টি আর অ্যালোভেরার কোমলতা দুটোর সফল সমন্বয় করা হয়েছে, যা চুলের আদর্শ ফিরিয়ে এনে চুলকে করবে কোমল।

অ্যালোভেরার নিয়মিত ব্যবহারে চুল হয়ে উঠে কোমল এবং নজরকাড়া। তবে অনেকের প্রবল ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও নিয়মিত সরাসরি অ্যালোভেরার ব্যবহার করা হয়ে উঠে না। টানা এক সপ্তাহ করলেও, পরের সপ্তাহে দেখা গেলো ব্যস্ততার কারণে আর হলো না। এই করে পরে করি করি করেও আর হয় না। ফলে অপূর্ণই থেকে যায় ঝলমলে কোমল চুলের অধিকারী হওয়ার স্বাদ, সেইসাথে কোমল চুলের টানে প্রিয় মানুষটির মন ভোলানোর অভিলাষটাও।

ব্যাপারটা অনেকখানি সহজ হয়ে যায়, যদি চুলে ব্যবহার্য নিত্য প্রসাধনেই অ্যালোভেরার পর্যাপ্ত ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়। যেমন, চুলের যত্নে নারিকেল তেলের কদর অনেক বেশি। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম চুলের যত্নে নারিকেল তেল ব্যবহার হয়ে আসছে। নারিকেলের পুষ্টির সাথে অ্যালোভেরার কোমলতার মিশ্রণে হতে পারে দারুণ কম্বিনেশন, যা চুলকে পরিণত করবে সবচেয়ে আদর্শ কোমল চুলে।

বর্তমান বাজারে প্যারাস্যুট অ্যাডভান্সড অ্যালোভেরা হেয়ার অয়েল পাওয়া যাচ্ছে, যাতে কোমল চুলের জন্য নারিকেল তেলের পুষ্টি আর অ্যালোভেরার কোমলতা দুটোর সফল সমন্বয় করা হয়েছে। নারিকেল ও অ্যালোভেরার গুণের সমন্বয়ে তৈরি তেলের নিয়মিত ব্যবহারে একই সাথে চুলের সঠিক পরিচর্যা আর প্রিয়জনের মন ভোলানো চুলের অধিকারী হওয়া উভয় কার্যই সিদ্ধি হয়ে যেতে পারে। তখন আপনার কোমল চুলে প্রিয়জনের প্রতিটি স্পর্শই হবে ভালোবাসার।

 

সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন