চীন-রাশিয়ার সুপারসনিক অস্ত্র ঠেকাতে সক্ষম নয় যুক্তরাষ্ট্র: পেন্টাগন

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী যুগ যুগ ধরে বৈরী দেশগুলোর তুলনায় প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতায় ব্যাপকভাবে এগিয়ে ছিল। অতিউন্নত যোগাযোগব্যবস্থা ও সাইবার সক্ষমতা দিয়ে শত্রু দেশগুলোকে দাপিয়ে বেড়িয়েছে।

কিন্তু রাশিয়া ও চীনের প্রযুক্তিগত উন্নতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের ফারাক অনেকটা কমে এসেছে। কাজেই পেন্টগনের এখন ভাবনা, ভবিষ্যৎ যুদ্ধে সমকক্ষ শত্রুদের মোকাবেলায় তারা কতটা সফল হবে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগনের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জন ই হাইটেন স্বীকার করেছেন যে, রাশিয়া ও চীনের আধুনিক সুপারসনিক অস্ত্রগুলোর মোকাবেলা করতে যুক্তরাষ্ট্র সক্ষম হবে না।-খবর পারস টুডের।

দেশটির কৌশলগত সেনা-কমান্ডের (স্ট্রাটকম) প্রধান জন ই হাইটেন নামে ওই কর্মকর্তা মার্কিন সিনেটের সশস্ত্র বাহিনীবিষয়ক কমিটির সভায় এ তথ্য দিয়েছেন।

ব্রিটেনের দৈনিক এক্সপ্রেস পত্রিকা এ খবর দিয়ে জানিয়েছে, হাইটেন সিনেটের ওই কমিটিতে বলেছেন, রাশিয়া ও চীন শব্দের চেয়েও দ্রুত গতিসম্পন্ন অস্ত্রের প্রযুক্তি অর্জনের জন্য সক্রিয় রয়েছে এবং মার্কিন সরকার এ বিষয়ে কেবল তাদের নানা পরীক্ষার নীরব দর্শক হয়ে দেখছে!

মার্কিন ওই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের মতো এসব অস্ত্র মহাকাশের নিচের স্তরগুলো ছুঁয়ে যেতে সক্ষম এবং সেগুলো খুব দ্রুত ফিরে গিয়ে একই উচ্চতায় দীর্ঘ সময় ধরে উড়তে পারে।

হাইটেন হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এইসব সুপারসনিক অস্ত্রের মোকাবেলায় পেন্টাগনের কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেই।

এর আগে মার্কিন বিমান বাহিনীর প্রধান তার দেশের জন্য রাশিয়াকে অন্যতম প্রধান হুমকি হিসেবে অভিহিত করে বলেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচিত খুব দ্রুত প্রতিরক্ষা শক্তিকে হালনাগাদ করা।

যুগান্তর