চীনে ফাইজারের প্যাক্সলোভিডের অনুমোদন

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

চীনের মেডিকেল পণ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা ন্যাশনাল মেডিকেল প্রোডাক্টস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনএমপিএ) মার্কিন কোম্পানি ফাইজারের তৈরি করোনার মুখে খাওয়ারও ওষুধ প্যাক্সলোভিডের অনুমোদন দিয়েছে। শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

এনএমপিএ কর্মকর্তারা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ সম্পর্কে বলেন, কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী চীনে করোনার মৃদু বা মাঝারি উপসর্গে ভুগছেন এবং গুরুতর অসুস্থতার উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন— এমন ব্যক্তিদের চিকিৎসায় প্যাক্সলোভিড ব্যবহার করা যাবে।

তবে এই ওষুধটি কেনার ব্যাপারে ফাইজারের সঙ্গে চীনের সরকারের চুক্তি সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে এনএমপিএর অনুমোদনকে স্বাগত জানিয়ে এক বিবৃতিতে ফাইজারের কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারিবিরোধী লড়াইয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক স্পর্শ করল ফাইজার।’

গত বছর নভেম্বরে করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধ প্যাক্সলোভিড বাজারে আনে ফাইজার। কোম্পানিটির দাবি- তাদের অ্যান্টিভাইরাল পিল করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং এ রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি ৮৯ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে সক্ষম।

ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও এশিয়ার বেশ কিছু দেশ এই ওষুধটি কিনতে ফাইজারের সঙ্গে চুক্তি করেছে। এছাড়া বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৯৫টি মধ্যম ও নিম্ন আয়ের দেশকে প্যাক্সলোভিডের জেনেরিক (একই নামে ভিন্ন ওষুধ) উৎপাদনের অনুমতিও দিয়েছে কোম্পানি।

এদিকে, এই প্রথম করোনা চিকিৎসায় বিদেশি কোনো ওষুধের অনুমোদন দিল চীন। মহামারির দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এ পর্যন্ত দেশটি জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে বিদেশি কোনো টিকার অনুমোদন দেয়নি।

তবে টিকাদান কর্মসূচিতে বিশ্বের সবচেয়ে সফল দেশসমূহের মধ্যে চীন অন্যতম। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশটির মোট জনসংখ্যার ৮৭ দশমিক ১ শতাংশই করোনা টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন।

জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক- এই দুটি করোনা টিকা ব্যবহার করেছে চীন।