চীনের জাতীয় দিবসে ২৫ দেশের ৫০ শহরে বিক্ষোভ

১ অক্টোবর ৭১তম জাতীয় দিবস পালন করেছে চীন। তবে এদিন চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘন, কভিড-১৯, প্রতিবেশী দেশগুলোতে আগ্রাসন, জাতিগত সংখ্যালঘু নির্যাতনসহ আরো নানা অভিযোগে নির্যাতিতদের অংশগ্রহণে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, প্রতিবছরের ১ অক্টোবর জাতীয় দিবস উদযাপন করে চীন। এবার সেটির ৭১তম দিবস। সেদিন চীনের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পরই আন্দোলন শুরু হয় বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন শহরে। এরইমধ্যে ২৫টি দেশের ৫০টি শহরে ‘জাতীয় দিবসের’ বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে।

চীনা জাতীয় দিবসের বিরুদ্ধে কানাডার টরেন্টোতে দেখা গেছে  ব্যাপক প্রতিবাদ ও মিছিল। সিটি হলে চীনা পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানের পরেই এই বিক্ষোভ শুরু হয়। টরেন্টোর মেয়র জন টরি ওই পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন। এরপরেই শুরু হয় ব্যাপক বিক্ষোভ, পরে টরেন্টোর অন্টারিও আইনসভা এবং কনসাল জেনারেল কর্তৃক নির্ধারিত পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি বাতিল করা হয়।

জানা গেছে, কভিড-১৯ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ বেশ কয়েকটি ইস্যুতে চীনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে টরন্টোর চীনা কনস্যুলেটের সামনে প্রায় ৩০০ বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছিলেন। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে হংকং, তিব্বত, ভিয়েতনাম, মঙ্গোলিয়া এবং তাইওয়ানের কমিউনিটির লোকজন ছিলেন।

একই সময়ে বিক্ষোভ শুরু হয় যুক্তরাজ্যেও। দেশটির চীনা দূতাবাসে জাতীয় দিবসের একটি আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেই প্রতিবাদ শুরু করে বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার সম্প্রদায়গুলো।

এদিকে, তিব্বতি, উইঘুর, মঙ্গোলীয়, হংকং এবং তাইওয়ানের অধিবাসীদের ওপর চীনের নির্যাতন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে জাপানের রাজধানী টোকিওতে প্রায় তিন হাজার লোক জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ করেছেন। তারা টোকিওতে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেন।

বিক্ষোভে ৬০০ উইঘুর মুসলমান, দুই হাজার হংকংবাসী এবং ৬০০ তিব্বতি ও মঙ্গোলীয় অংশগ্রহণ করেন। আন্দোলনকারীরা টোকিওর তিনটি ভিন্ন জায়গা থেকে মূল ভেন্যুতে এসে জড়ো হন। তিব্বতিরা হিবিয়া পার্ক এবং হংকংয়ের শরণার্থীরা শিবুয়া থেকে বিক্ষোভ মিছিলে গিয়ে যোগ দেন।

বিক্ষোভে হংকংয়ে চীনের চাপিয়ে দেওয়া কঠোর নিরাপত্তা আইন, মঙ্গোলিয়ার স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া মান্দারিন ভাষা, তিব্বত ও জিনজিয়াংয়ে ধর্মীয় স্বাধীনতার হস্তক্ষেপ এবং তাইওয়ানে চীনের আগ্রাসী ও ভীতি প্রদর্শনমূলক কার্যকলাপের সমালোচনা করে স্লোগান দেওয়া হয়েছে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ