চিনের হাত থেকে দেশকে আগলে রাখবে উট!

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

মরুভূমির জাহাজ হিসেবেই পরিচিতি উট। এবার তাদের দেখা যাবে লাদাখে বরফ ঠান্ডায় অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায়। সূত্রের খবর, লাদাখে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রল বরাবর টহলদারি চালাতে এবার উট মোতায়েনের কথা ভাবছে সেনা। এক কুঁজ ও দুই কুঁজ, দু’ধরনের উটই মোতায়েন করা হবে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদন : মরুভূমির জাহাজ হিসেবেই পরিচিতি উট। এবার তাদের দেখা যাবে লাদাখে বরফ ঠান্ডায় অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায়। সূত্রের খবর, লাদাখে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রল বরাবর টহলদারি চালাতে এবার উট মোতায়েনের কথা ভাবছে সেনা। এক কুঁজ ও দুই কুঁজ, দু’ধরনের উটই মোতায়েন করা হবে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে।

উটগুলি একদিকে যেমন সীমান্ত পেরিয়ে শত্রুর অনুপ্রবেশের উপর নজরদারি চালাবে। পাশাপাশি তেমনই, সীমান্তে অস্ত্রশস্ত্র বহন করার কাজও করবে। সীমান্তে টহলদারি চালানোর লক্ষ্যে উটগুলিকে বিশেষ প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ডোকালাম ইস্যুর পর থেকেই সিকিম-তিব্বত-ভূটান সীমান্তে চিনা সেনার উপস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারতীয় সেনা। সীমান্তে নজরদারি পরিকাঠামো তাই আরও জোরদার করতে চাইছে সেনা। সেই কারণেই লাদাখে সীমান্ত আগলাতে উটকে ব্যবহারের ভাবনা।

পাশাপাশি, দুর্গম এলাকায় অস্ত্র বহন করতে ভারতীয় সেনা সাধারণত গাধা ও খচ্চর ব্যবহার করেছে। কিন্তু একটি গাধা বা খচ্চরের চেয়ে কয়েক গুণ ভারী অস্ত্রশস্ত্র বইতে পারে উট। গাধা বা খচ্চর যেখানে ৪০ কেজির মাল বইতে পারে, সেখানে দুই-কুঁজ উট ১৮০ থেকে ২২০ কেজির ওজন বইতে পারে। সেইসঙ্গে একস্থান থেকে অন্যস্থানে যেতেও উটের অনেক কম সময় লাগবে।

উল্লেখ্য, ভারতে একমাত্র লাদাখের নুব্রা উপত্যকাতেই দুই-কুঁজ উট দেখতে পাওয়া যায়। সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই বিকানেরর জাতীয় উট গবেষণা কেন্দ্র থেকে ৪টি এক-কুঁজ লাদাখে নিয়ে এসেছে সেনা। লাদাখে এই পরিকল্পনা সফল হলে ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার ফিট উচ্চতায় অবস্থিত এলাকা ও উপত্যকাগুলিতেও ভবিষ্যতে নজরদারি চালাতে উট মোতায়েনের কথা ভাবা হতে পারে।

বর্তমানে, রাজস্থানের জোধপুর, জয়সলমীর প্রভৃতি বিভিন্ন এলাকায় সীমান্ত বরাবর টহল দেওয়ার সময় উট ব্যবহার করে থাকে ভারতীয় সেনা। কখনও উটের পিঠে চড়ে, কখনও উটে টানা গাড়িতে চড়ে টহল দিয়ে থাকে সেনা-জওয়ানরা। কিন্তু নজরদারি চালাতে প্রশিক্ষিত উট ব্যবহারের ভাবনা এই প্রথম।