‘চিনি বিক্রি করে বেতন নিতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, জয়পুরহাট:

মিলের উৎপাদিত চিনি ও মোলাসেস বিক্রি করে বেতন নিতে হবে এবং এ খাতে সরকারের সরাসরি টাকা দেওয়ার কোন সুযোগ নাই। কোন ব্যাংকও সুগার মিলকে ঋণ দিতে চায় না।

রোববার দুপুরে জয়পুরহাট সুগার মিলে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের সাথে আখ রোপন, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন আখ সরবরাহ, গ্যারেজ ও কারখানা রক্ষণাবেক্ষণে বিষয়ে মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান এ কে এম দেলোয়ার হোসেন প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন- চিনির মূল্য যদি লবনের মূল্যের কাছাকাছি আসে তাহলে এ শিল্প টিকবে কী করে। সব কিছুর দাম বাড়লেও চিনির মূল্য কমে বর্তমানে ৪০-৪২ টাকা কেজি। অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে চিনি শিল্প রক্ষার কাজ করা হচ্ছে এ শিল্পকে লাভজনক করতে হলে মূল্য বৃদ্ধি করাসহ বেশি বেশি আখ রোপন করতে হবে তাহলে এ শিল্প ঘুরে দাড়াবে। আখের মূল্য ৬০ টাকা মন থেকে এখন ১শ’৪০ টাকা করা হয়েছে।
মিলের লোকসান কমাতে এবং আয় বৃদ্ধি করতে হলে আমাদের যা আছে তারই ব্যবহার করে মিলের আয় বৃদ্ধি করতে হবে, এজন্য অসমতল জমিকে সমতল করে এবং পরিত্যক্ত ভবন ও জঙ্গল পরিস্কার করে ড্রাগন, ভিয়েতনাম ওপি হাইব্রিড নারিকেল বাগান এবং মাশরুম চাষ করা হচ্ছে।

মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএসএফআইসি’র পরিচালক (উৎপাদন ও প্রকৌশল) হারেছ আলী, মহাব্যবস্থাপক (কারখানা) সাখাওয়াৎ হোসেন, মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) রাব্বিক হাসান, মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) খুরশীদ জাহান মাফরুহা, মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) আব্দুল বারী, উপ-মহাব্যবস্থাপক আব্দুস ছালাম ফকির, শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আলী আকতার, সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব রুমেলসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।

মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) আব্দুল বারী জানান, জয়পুরহাট সুগার মিলে ২০১৮-১৯ আখ রোপণ মৌসুমে ১২ হাজার একর জমি লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে যা গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুন। এ ছাড়াও এবার মিলের প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে ১ হাজার একর জমিতে আখ রোপনের জন্য বাধ্যতামূলক টার্গেট দেওয়া হয়েছে।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামাল বলেন, আখের মূল্য বৃদ্ধিতে চাষীরা আখ চাষে এখন উৎসাহিত হচ্ছে। এ জন্য আখের ফলন বৃদ্ধি করতে সময়মত আখ রোপণ, যথাযথ আখের পরিচর্যা, পোকামকড় দমন, চাষাবাদ যান্ত্রীকিকরন এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। তিনি সকলকে বেশী বেশী আখচাষের মাধ্যমে মিলের লোকশান কমাতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

এসময় শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিআইসি খোরশেদ আলম, সিআইসি সাকি মাহমুদ, সমলেন বিশ্বাস, মোমিনুর রহমান, কারখানার মোজাম্মেল হক, বয়লার হাউজ এর মাসুদ রানাসহ অন্যান্য শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।

স/শা