চাল আমদানিতে ২৮% শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

চাল আমদানিতে ২৮ শতাংশ শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। সচিবালয়ে গতকাল ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেনসে তিরিংকের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

চাল আমদানি ও দামের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তোফায়েল আহমেদ বলেন, এরই মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেকোনো পণ্যের শুল্ক যেকোনো সময়ই আমরা কমাতে পারি। যেমন চাল আমদানিতে ২৮ শতাংশ শুল্ক ছিল। যখন খাদ্যের একটু অভাব ছিল, বাজেট ছাড়াই তখন তা ২ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। এবার শস্যের বাম্পার ফলন হয়েছে। অস্বাভাবিক উৎপাদন হয়েছে আমাদের চাল। এর পরিপ্রেক্ষিতে চালের আমদানি শুল্ক আগের পর্যায়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু এটা আসতে হবে বাজেটের মাধ্যমে। ৭ তারিখে যখন বাজেট হবে, ওইদিন থেকে ওটা কার্যকর হবে। কৃষকের স্বার্থরক্ষার জন্যই এ সিদ্ধান্ত। এ ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা ভারতও নিয়ে থাকে।

বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার বিষয় সম্পর্কে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল ব্রাসেলস মিশন। চলতি মাসে ব্রাসেলসে সাসটেইনেবিলিটি কম্প্যাক্টের সভা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের ১৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল এতে অংশ নেবে। আমি নিজেও সভায় থাকব। আশা করছি, সভা ফলপ্রসূ হবে। রানা প্লাজা-পরবর্তী বাংলাদেশের পোশাক খাত সংস্কার অগ্রগতি খুবই সন্তোষজনক। যদিও আরো অনেক কিছু করতে হবে।

ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি মাসের ২৪ তারিখ ব্রাসেলসে সাসটেইনেবিলিটি কম্প্যাক্ট বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের জন্য বৈঠকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের যা কিছু করার কথা ছিল, তার সবটাই করেছি। আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনেও বাংলাদেশের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে। সাসটেইনেবিলিটি কম্প্যাক্টেও প্রশংসিত হবে। ক্রেতাদের শর্ত মোতাবেক বাংলাদেশ এরই মধ্যে শ্রম আইন ও ইপিজেড শ্রমিক আইন সংশোধন করেছে। একটি কারখানার ৩০ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ শ্রমিক চাইলেই এখন সংগঠন করতে পারবেন।

এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে ইইউ বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস সুবিধা দেবে জানিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, এজন্য যেসব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হয়, তা যথাসময়ে করা হবে। এ বিষয়ে কাজ চলছে।