গোমস্তাপুর প্রতিনিধি :
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন তিনি।
গত ১০ বছর সংসদ সদস্য না থেকেও বাৎসরিক আয় ও সম্পদ কয়েক গুণ বেড়েছে এই সাবেক এমপির। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে তার জমা দেয়া হলফনামা ও নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে থাকা ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহনের সময় তার জমা দেয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। কিন্তু দ্বাদশ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ায় ঘুরে ফিরে আলোচনায় আসছে তার আয় ও সম্পদের হিসাব।
বিগত ১০ বছরে কৃষি খাত থেকে আয় ও নগদ অর্থ কমলেও সম্পদ বেড়েছে ১২ গুন । আর তার স্ত্রীর বেড়েছে ২৩ গুন । ২০১৩ সালে জমা দেয়া হলফনামায় স্ত্রীর নগদ ৫ হাজার টাকা থাকলেও চলতি হলফনামায় তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ টাকায়। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ১ লক্ষ টাকা থাকলেও বর্তমানে রয়েছে ৫০ লাখ টাকা ও স্ত্রীর নামে রয়েছে ৯ লক্ষ ৭৭ হাজার ২ শত টাকা। এছাড়া ২০১৩ সালে স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ (পরিবার সঞ্চয়পত্র) হিসেবে দেখানো না হলেও বর্তমান হলফনামায় হয়েছে ৩০ লক্ষ টাকা আর স্ত্রীর দেখানো হয়েছে ৪৭ লক্ষ টাকা। দানসূত্রে কৃষিজমি পেয়েছেন (৮একর) ২৪.২৪ বিঘা এবং পূর্বচলে ৬ লাখ টাকায় অকৃষি জমি কিনেছেন ৩ কাঠা।
এছাড়া যৌথ মালিকানায় ৭১ হাজার ৪২৯ মূল্যের বাড়ি রয়েছে এ সাবেক সংসদ সদস্যের। স্ত্রীর নামে ১০ বছর আগে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা মূল্যের আট ভরি স্বর্ণ ছিল। চলতি হলফনামায় তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ ভরিতে, যা উপহার হিসেবে দেখানো হয়েছে।
তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় উল্লেখ করা সাবেক সংসদ সদস্য ও গোমস্তাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি গোলাম মোস্তফা বিশ্বাসের নিজের ও তাঁর স্ত্রীর আয় ও সম্পদের হিসাব সঠিক নয়, নামমাত্র উপস্থাপন বলে অভিযোগ তুলেছেন ভোটের মাঠে সক্রিয়রা।