চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১: আ. লীগে কোন্দল, বিএনপিতে আসতে পারে নতুন মুখ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পদ্মা তীরবর্তি উপজেলা হলো চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ।পদ্মার দুই ধারেই রয়েছে এই উপজেলার সীমান্ত এলাকা। দুই ধারেই বাস কয়েক লাখ মানুষের। একসশয় চরাচালানের জন্য পরিচিত ছিল উপজেলাটি। এখনো থেমে নেই। পাশাপা দেশব্যাপী এ উপজেলাটির জনপ্রিয়তা রয়েছে আমের রাজধানী বলে। এখানকার আম সারাদেশেই বিখ্যাত। রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুরনো আম বাগান। এছাড়াও রয়েছে ঐতিহাসিক সোনা মসজিদ। রাজশাহী অঞ্চলের একমাত্র স্থলবন্দরও রয়েছে এখানে। ফলে দেশজুড়ে অনেকটা পরিচিত একটি উপজেলা হলো শিবগঞ্জ।

সর্বশেষ জোট সরকারের আমলে এ উপজেলাটি আরও পরিচিতি পায় কানাসাটের বিদ্যুৎ আন্দোলনকে ঘিরে। বিদ্যুৎ আন্দোলনের নেতা গোলাম রাব্বানীই বর্তমানে এখানে এমপি। গত নির্বাচনে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হককে সরিয়ে বিদ্যুৎ আন্দোলনের নেতা গোলাম রাব্বানীকে মনোয়ন দেয় আওয়ামী লীগ।

বলা যায়, অনেকটা দিতে বাধ্য হয় দলটি। কারণ ওই সময় বিএনপি জোটের ভয়ে এলাকা ছেড়েই পালিয়ে যান প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক। তবে এখন আবার আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন সুবিধাবাদি নেতা এনামুল। এছাড়াও আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি গোলাম রাব্বানী তো রয়েছেনই মনোনয়ন দৌড়ে। এই দুইজনের বাইরে এখানে মনোনয়ন দৌড়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং প্রভাবশালী জামায়াতের মিলে আরও অন্তত হাফ ডজন প্রার্থী রয়েছে এখানে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের-১ (শিবগঞ্জ) আসনে এখন নানাভাবে তৎপর মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তৎপরতাই বেশি। এলাকার রাস্তা-ঘাটগুলোতে সভা পাচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুনসহ নানা নির্বাচনী প্রচারণার উপকরণ। ফলে নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে উপজেলাটিতে।

ঐতিহাসিক সোনামসজিদ আর কানসাট বিদ্যুৎ আন্দোলনের জন্য আলোচিত শিবগঞ্জ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসন, যা জাতীয় সংসদের ৪৩ নম্বর নির্বাচনী এলাকা।মাঠপর্যায়ে বিভিন্ন দলের নির্বাচনী তৎপরতার খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, এ আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য কানসাট আন্দোলনের নেতা গোলাম রাব্বানী ছাড়াও আরো তিনজন দলের মনোনয়ন চাইতে পারেন।

অন্যদিকে এ আসনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান মিঞাসহ চারজন দলটির মনোনয়ন আলোচনায় রয়েছেন। দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্যরা বলেছেন, এ আসনে নতুন মুখ প্রয়োজন। তবে সাবেক সংসদ বলেছেন, এটা দলের বক্তব্য নয়।

এদিকে বিএনপি জোটের শরিক জামায়াতও গোপনে নির্বাচনকেন্দ্রিক তৎপরতা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে দলটি শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির কেরামত আলীকে প্রার্থী নির্বাচন করেছে বলে জানা গেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে এ আসনে ভোট হয়নি। বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের গোলাম রাব্বানী। এর আগে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্রিগেডিয়ার (অব.) এনামুল হক বিএনপির শাহজাহান মিঞাকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই সময় গণফোরামের টিকিটে নির্বাচন করে গোলাম রাব্বানী প্রায় ৫০ হাজার ভোট পান। শেষে গত নির্বাচনের আগে দলে যোগদান করে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান গোলাম রাব্বানী।

আওয়ামী লীগ : শিবগঞ্জ আসনে গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন থেকেই আওয়মাী লীগের দলীয় কোন্দল প্রকট আকারে প্রকাশ্যে আসে। ওই নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী জয়লাভ করে মাত্র দুটি ইউনিয়নে। আর আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীরা জয়লাভ করেন ছয়টি ইউনিয়নে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে দলের উপজেলা শাখার সভাপতি গোলাম রাব্বানীর এ দ্বন্দ্বের জের ধরে তিনিসহ তিন নেতাকে বহিষ্কারের সুপারিশও করা হয়। উপজেলাটি আওয়ামী লীগ নানাভাগে বিভক্ত। নেতাকর্মীরা একেকজন একেক গ্রুপের হয়ে কাজ করছেন। ফলে এখনো প্রকাশ্য কোন্দল লেগেই আছে এখানে।

আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান সংসদ সদস্য গোলাম রাব্বানী ছাড়াও মনোয়নপ্রত্যাশায় তৎপরতা চালাচ্ছেন আরো তিনজন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন—চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মইনুদ্দীন আহমেদ মন্টুর ছেলে ডা. সামিল উদ্দীন আহম্মেদ শিমুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার (অব.) এনামুল হক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ইউকসু) সাবেক সাধারণ সম্পাদক (জিএস) আওয়ামী লীগ নেতা প্রকৌশলী মাহতাব উদ্দীন। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরার পাশাপাশি প্রত্যন্ত এলাকায় গণসংযোগ ও সমাবেশ করছেন তাঁরা।

আগামী নির্বাচনে আবারও মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘শিবগঞ্জে একটা চরম দুর্দিনের সময় জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। ওই সময়ের প্রায় বিধ্বস্ত নেতাকর্মীদের আমি সুসংগঠিত করেছি, চাঙ্গা করেছি। সংগঠন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। ওই সময় সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে পরিচিত শিবগঞ্জ শান্তির জনপদ হিসেবে ফিরে এসেছে। পাশাপাশি এলাকার সড়ক যোগাযোগসহ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে পেরেছি এবং জনগণের পাশে রয়েছি। সে কারণে আশা করি—দল আমার ওপর আস্থা রেখে আগামীতে আমাকে আবারও মনোনয়ন দেবে। ’

ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ডা. সামিল উদ্দীন আহম্মেদ শিমুল তাঁর প্রয়াত বাবা সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মইনুদ্দীন আহম্মেদ মন্টুর পথ অনুসরণ করেছেন। তিনি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চাকরি ছেড়ে দিয়ে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের পাশাপাশি বর্তমানে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নকে পাওয়ার প্রত্যাশায় তিনি ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে বিনা মূল্যে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।

ডা. সামিল সাবেক ও বর্তমান দুই সংসদ সদস্যের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘তাঁরা জনগণের কাছে যেতে পারেননি। যেহেতু আমি জনগণের পাশে ছিলাম এবং আছি, সেহেতু আশা করি দল আমাকে মনোনয়ন দিবে। ’ তিনি আরও বলেন, আমি সাধারণ মানুষের পাশে আছি। তাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এখন দল যাকে চাইবে, তার হয়েই আমরা কাজ করবো। তবে শিবগঞ্জের মানুষ চায় এবার পরিবর্তন। সেই পরিবর্তনের জন্য আমি কাজ করে যাচ্ছি।’

সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এনামুল হকও নির্বাচনকে সামনে রেখে তৎপরতা শুরু করেছেন। ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর শিবগঞ্জে জামায়াত-বিএনপির নাশকতার সময় তাঁর ভূমিকা নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ। ওই সময় ৮-৯ মাস ওই এলাকায় নাশকতা হয়েছে। জামায়াত-শিবিরের চোরাগোপ্তা হামলায় বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী নিহত ও আহত হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল অনেকের বাড়িঘর। দলীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ওই সময় তৎকালীন সংসদ সদস্য ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন না। মাসের পর মাস তিনি এলাকায় আসেননি। নেতাকর্মীদের এমন অভিযোগ থাকলেও বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন এনামুল হক।

সাবেক ছাত্রনেতা প্রকৌশলী মাহতাব উদ্দীন বলেন, ‘ছাত্র রাজনীতির পর দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করছি। নেতাকর্মীদের সঙ্গেই রয়েছি। পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেও এলাকায় অবদান রাখার চেষ্টা করছি। প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা আমার রয়েছে বিধায় দলের কাছে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। ’

বিএনপি : বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা শাহজাহান মিঞা এ আসনে কয়েকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয় সংসদের হুইপের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বর্তমান উপদেষ্টা প্রবীণ এ নেতার ছত্রচ্ছায়ায় বহুদিন থেকে শিবগঞ্জে বিএনপি পরিচালিত হয়ে আসছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সাংগঠনিক তৎপরতা তেমন চোখে পড়ে না। অবশ্য দলীয় সূত্র জানিয়েছে, প্রকাশ্য কর্মকাণ্ড না থাকলেও নেতারা বসে নেই। নীরবে চলছে নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংযোগ।

আগামী নির্বাচনে শাহজাহান মিঞা প্রার্থী হচ্ছেন—দলের একাংশ এমনটা বললেও অন্য অংশ বলছে, দীর্ঘদিনের নেতৃত্ব পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন নতুন নেতৃত্ব। সে লক্ষ্যে শাহজাহান মিঞা ছাড়াও আরো অন্তত তিনজন দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য তৎপরতা শুরু করেছেন। তাঁরা হলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য ছাত্রদলের সাবেক নেতা বেলাল-ই-বাকী ইদ্রিশী, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ছাত্রদলের সাবেক নেতা সৈয়দ শাহীন শওকাত, শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম কবির হেলিম।

বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকাত বলেন, ‘তৃণমূলের দাবি দীর্ঘদিনের নেতৃত্বের পরিবর্তন হোক, নতুন নেতৃত্ব আসুক। কর্মীরা শাহজাহান মিঞার বিকল্প চাচ্ছে। নতুন মুখ ও যোগ্য নেতৃত্ব চাচ্ছে। শিবগঞ্জের তৃণমূলের কর্মীরা যোগ্য হিসেবে আমাকেই চাচ্ছে। এখন দলীয় হাইকমান্ড কার্যক্রমসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনা করবে এবং আমাকে মনোনয়ন দেবে—এটাই আমি মনে করি। ’

বিএনপির আরেক প্রার্থী বেলাল-ই-বাকী ইদ্রিশী আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য তৎপরতা শুরু করেছেন। এরই মধ্যে এলাকায় ব্যাপক বিলবোর্ড টানিয়েছেন তিনি।

বেলাল-ই-বাকী বলেন, ‘ছাত্রাবস্থা থেকেই আমি বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত। আগের নির্বাচনেও মনোনয়ন চেয়েছিলাম, কিন্তু পাইনি। এখন দেখছি, শিবগঞ্জের মানুষ একটা পরিবর্তন চায়। দলের নিজস্ব মূল্যায়ন আছে। আমি মনোনয়ন পাওয়ার জন্য চেষ্টা করছি, দল বিবেচনা করবে। ’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র শামীম কবির হেলিম বহু রাজনৈতিক মামলার আসামি। সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান মিঞার স্নেহভাজন হিসেবেই তিনি এলাকায় পরিচিত। তিনিও আগামী নির্বাচনে মনোনয়নের প্রত্যাশায় তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

জানতে চাইলে সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান মিঞা বলেন, ‘দল যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে আমাকেই মনোনয়ন দেবে। সেই সঙ্গে সংগঠন ও হাজার হাজার নেতাকর্মী আমার সঙ্গেই আছে। আমাকে বাদ দিয়ে গ্রহণযোগ্য বিকল্প কোনো প্রার্থী নেই। ’

প্রার্থী পরিবর্তন প্রসঙ্গে শাহজাহান মিঞা বলেন, ‘এটি দলের বক্তব্য নয়। এটি কোনো ব্যক্তি বলতে পারেন। এলাকায় যাঁদের কর্মকাণ্ড নেই, যাঁরা এলাকায় থাকেন না তাঁরাই এমন কথা বলতে পারেন। ’

জামায়াত :চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে ভোটের হিসাবে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের অবস্থান শক্ত হলেও স্বাধীনতার পর এ আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিদলীয় প্রার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বার বার। জামায়াত প্রার্থী সংসদ সদস্য হতে পারেননি। কিন্তু উপজেলা জুড়ে এ দলটির কর্মী-সমর্থকের সংখ্যা প্রচুর। গত নির্বাচনের পরে এ উপজেলায় ব্যাপক তাণ্ডরের মূলে ছিল এই জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরাই। শেষ পর্যন্ত তাদের নিয়ন্ত্রণে বিজিবিকে নামাতে হয়েছিল এখানে।

ভোটের হিসাবে শক্তিশালী অবস্থানে থাকা জামায়াত চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে এরই মধ্যে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান কেরামত আলীকে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছে। প্রকাশ্য কর্মসূচিতে না থাকলেও প্রার্থীকে নিয়ে ভেতরে ভেতরে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে দলটি।

জামায়াত নেতা কেরামত আলী বলেন, ‘এরই মধ্যে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে আমাকে প্রার্থী নির্বাচন করার বিষয়টি আমাদের জনশক্তির কাছে, সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এখন আমরা চাচ্ছি, জোটগতভাবে নির্বাচন করতে। শিবগঞ্জ আসন জামায়াতকে দেওয়ার জন্য তৎপরতা চালানো হচ্ছে। আমরা আশা করব, জোট আমাদের দেবে। ’

আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের বাইরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ, আম্বিয়া-প্রধান) নেতা আজিজুর রহমান আজিজও দলীয় মনোনয়নের জন্য তৎপরতা চালাচ্ছেন।

স/আর