চাঁপাইনবাবগঞ্জে ব্যাংকে ভূয়া কাগজপত্র দিয়ে ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি:

এবি ব্যাংক লি. চাঁপাই নবাবগঞ্জ শাখার ম্যানেজারের যোগসাজসে প্রায় ১৫ লাখ টাকা (১৮ হাজার ৭২০ ডলার) আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত এই অভিযোগ করেছেন চাঁপাই নবাবগঞ্জের আমদানী-রপ্তানীকারক মেসার্স স্বাধীন এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মো. শরিফুল ইসলাম স্বাধীন।

 

বিষয়টির সত্যতা জানতে সাংবাদিকরা ব্যাংকে গেলে ম্যানেজার আব্দুল হাদী তার রুমে সহকারি ম্যানেজার আব্দুল ওয়াহেদকে ডাকেন। এসময় আব্দুল ওয়াহেদ সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।

 

অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১১ জুলাই এবি ব্যাংক চাঁপাই নবাবগঞ্জ শাখায় ৪শ’ টন পেঁয়াজের এলসি ওপেন করেন (এলসি নং- ০৬৮২১৬০১১৫৩২৫, রাহুল চৌধুরী, 125, NEW ALOOPYAJ MANDI, INDORE-452001, MP, INDIA) মেসার্স স্বাধীন এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী শরিফুল ইসলাম স্বাধীন। প্রেক্ষিতে ভারতের রপ্তানীকারক রাহুল চৌধুরী ৪শ’ মে. টন পেঁয়াজ রপ্তানী করেন এবং ৩শ’ মে. টন পেঁয়াজের বিল সাবমিট করেন। যা যথাসময়ে এবি ব্যাংক লি. চাঁপাই নবাবগঞ্জ শাখায় পরিশোধ করা হয়। পরবর্তীতে খবর পাওয়া যায় ভারতের রপ্তানীকারক মৃত্যুবরণ করেছেন।

 

এদিকে ১শ’ মে. টন পেঁয়াজের বিল ভূয়া কাগজপত্র দিয়ে আইসিআইসি ব্যাংক ইন্দোর শাখা হতে এবি ব্যাংক চাঁপাই নবাবগঞ্জ শাখায় এলসি তারিখ উত্তীর্ণ হওয়ার পর সাবমিট করা হয়। কিন্তু ভূয়া কাগজপত্র দেখে বিলটি এবি ব্যাংক চাঁপাই নবাবগঞ্জ শাখা হতে ফেরত পাঠানো হয়। পরে এবি ব্যাংক লি. চাঁপাই নবাবগঞ্জ শাখার ম্যানেজার আব্দুল হাদী, সহকারি ম্যানেজার আব্দুল ওয়াহেদ ও ফরেন এক্সচেঞ্জ অফিসার মুকতাদুল রানা যোগসাজস করে আইসিআইসি ব্যাংক ইন্দোর শাখায় যোগাযোগ করে প্রায় চারমাস পর আবারও ভূয়া কাগজপত্রসহ বিলটি এবি ব্যাংক চাঁপাই নবাবগঞ্জ শাখায় নিয়ে আসে। এদিকে গত ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ব্যাংক ম্যানেজার আব্দুল হাদী মেসার্স স্বাধীন এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মো. শরিফুল ইসলাম স্বাধীনকে ব্যাংকে ডেকে ওই ভূয়া কাগজপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। এবং ১৯ মার্চ রোববার তারা ভূয়া ভাউচার দিয়ে এনওসি (নন অবজেকশন সার্টিফিকেট) বের করে সেদিন এ বিলটি পাঠিয়ে দেয়া হয়। বর্তমানে ওই বকেয়া এলসি বাবদ ১৮ হাজার ৭২০ ডলার ব্যাংকের ওই তিন কর্মকর্তা ভাগ বাটোয়ারা করে নেবে বলে আশঙ্কা করছেন শরিফুল ইসলাম স্বাধীন।

 

তিনি অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করেছেন, ব্যাংক ম্যানেজার আব্দুল হাদীর শ্বশুর বাড়ি ভারতের পশ্চিমবাংলার মালদহ জেলার কালিয়াচক হওয়ায় তিনি বিভিন্ন সময় ভারত থেকে টাকা পাচার করে নিয়ে আসেন। মেসার্স স্বাধীন এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মো. শরিফুল ইসলাম স্বাধীন এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন। এ বিষয়ে ব্যাংক ম্যানেজার আব্দুল হাদীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এর কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

স/অ