চাঁপাইনবাবগঞ্জে জেলা প্রশাসনের জিম্মায় মাদকসহ আটক সেই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ নুরুজ্জামানকে অন্তত ৬৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেপ্তার করতে সরকারের কাছে অনুমতি চাওয়া হবে। আজ শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারের জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত আবেদন দেয়া হতে পারে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় থেকে অনুমতি মেলার পরই তাকে ফেন্সিডিলসহ গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানান পুলিশের একাধিক সূত্র। তবে বতর্মানে ওই কর্মকর্তাকে জেলা প্রশাসনের জিম্মায় রাখা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার রাত ১টার দিকে তাকে চাঁপাইনবাগঞ্জ থানা হাজতে নেয়া হয়। এর আগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রাত ৯টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের টোলঘর এলাকা থেকে তাকে আটক করে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক জাফরুল্লাহ কাজল বলেন, কোল্ড ড্রিংকসের পাঁচটি বড় বোতলে ভরে নুরুজ্জামান তার সরকারি গাড়িতে করে ফেন্সিডিল নিয়ে রাজশাহী আসছিলেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর গোপন খবর পেয়ে তাকে ফেন্সিডিল ও গাড়িসহ আটক করে। পাঁচটি বোতলে থাকা ফেন্সিডিলের পরিমাণ কমপক্ষে ৬৫ বোতলের সমান হবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ সাংবাদিকদের বলেন, নুরুজ্জামানের সরকারি গাড়িতে করে ফেন্সিডিল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এসময় নুরুজ্জামান ওই গাড়িতেই ছিলেন। তাকে আটকের পর তিনি নিজেকে রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেন। তখন তাকে সার্কিট হাউসে নেওয়া হয়।

এদিকে নুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য সরকারের কাছে অনুমতি চাওয়া হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় থেকে অনুমতি মেলার পরই তাকে ফেন্সিডিলসহ গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানান পুলিশের একাধিক সূত্র। তবে বতর্মানে ওই কর্মকর্তাকে জেলা প্রশাসনের জিম্মায় রাখা হয়েছে।

রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার বলেন, টেলিভিশনে নুরুজ্জামানকে আটকের খবর দেখছি। এরচেয়ে বেশি কিছু আমি জানি না।

নুরুজ্জামান ২০১৫ সালে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছিলেন।

স/আর