চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় ১ নং সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত পুকুর জোর পূর্বক দখলের প্রতিবাদে ও সমবায় অফিস কর্তৃক নিবন্ধনকৃত সমিতির জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে নাচোল বাস স্ট্যান্ড মোড়ে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

প্রায় ঘন্টাব্যাপি চলা মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ভুক্তভোগী ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন, আশিয়া বেগম, মাতোয়ারা বেগম, অমিত হাসান, ফারুক আহমেদ বাবু, সাব্বির আহমেদ, আব্দুল জাব্বার, আশ্রয়ন প্রকল্পের আনারুল ইসলাম, জোসনা মারডি প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, উপজেলার খাস খতিয়ানভুক্ত পুকুরগুলো বিভিন্ন সমবায় সমিতির অধীনে আদিবাসী জনগোষ্ঠী ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপহারের ঘর পাওয়া সুবিধাভোগীদের মাঝে ইজারা দেয়া হয়। কিন্তু আম জোয়ান গ্রামে আশ্রয়ন প্রকল্পের ৭৫ টি পরিবারের এমন শতাধিক পুকুর জোরপূর্বক ভোগ দখলে নেয় নাচোল উপজেলার হামিদপুর গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে জালিয়াতি চক্রের প্রধান নাচোল পৌরসভার কাউন্সিলর আকবর আলী। এমনকি পুকুর দখলে বাধা দিতে গেলে হামলা ও মিথ্যা মামলার শিকার হন ইজারাকৃত সমিতির সদস্যরা।

বক্তারা আরো বলেন, শুধু কি আকবর আলী তার সাথে তার আরো দুই ভাই জালিয়াতি চক্রের মাস্টার মাইন্ড মোখলেসুর রহমান মনির এবং তার ছোট ভাই সমবায় অফিসের স্টাফ মোস্তাফিজুর রহমান মিঠুনও পুকুরে নামলে বিভিন্ন প্রকারের হুমকি দেন ভুক্তভোগীদের। এমনকি বেশি বাড়াবাড়ি করলে ধর্ষণ কেসে ফাঁসিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হবে বলেও জানায় জালিয়াতি চক্রের সদস্যরা।

আর তাই ভুক্তভোগীরা জালিয়াতি চক্রের সদস্য ওই ৩ ভাইয়ের বিরুদ্ধে কয়েক দফা দাবি তুলে ধরে অবিলম্বে তা বাস্তবায়নে সরকার প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান মানববন্ধন থেকে।

এ সময় মানববন্ধনে নাচোল উপজেলার মৎস্য চাষীসহ সাধারণ জনগণ এবং কয়েকশ আদিবাসী নারী-পুরুষ ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের সাব্বির, মিঠন, রিতা, হামিদপুর গ্রামের আকতার আলিসহ সুবিধাভোগীরা বিভিন্ন ব্যানারে জালিয়াতি চক্রের তিন জনের নাম ও ছবি দিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে নাচোল উপজেলার বিভিন্ন জায়গার ভুক্তভোগীরা নাচোল বাসস্ট্যান্ড মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে।

এ বিষয়ে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে কাউন্সিলর আকবর আলী মুঠোফোনে বলেন, ইজারাকৃত পুকুর দখলের অভিযোগটি ভিত্তিহীন। উল্টো আমার ইজারাকৃত পুকুর দখল করলে আদালত আমার পক্ষে রায় দিলে কোন কূলকিনারা না পেয়ে একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য ছড়াচ্ছে।

তবে নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা-ইউএনও মোহাইমেনা শারমিন বলেন, সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে তবেই সরকারি খাস পুকুরগুলো ইজারা দেয়া হয়েছে। ইজারা দেয়া পুকুর দখলের সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ পেলে আমরা তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।